ঐ এলোরে বসন্ত….
রিক্ত বনবীথিকার শাখে জেগেছে কচি কিশলয়
মৃদুমন্দ দখিনা বায় লেগে বয় সর্বাঙ্গে শিহরণ
ধুলোর আবরণ ভেঙ্গে গাছে গাছে অপরূপ সবুজ মায়া নিকেতন
বনান্তরালে ডাকে কুহু কুহু কোকিল
অশোক পলাশ বনে রঙে রাঙিয়েছেন বিধাতা..
রঙিন সুখে আত্মহারায় মন হারায় সেই কৈশোরের দুরন্তপনায়…
শিমুলের পাঁপড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে আকাশে উড়ায়ে দিয়েছিলাম সেই কবে;
বিপুল উল্লাসে কাটানো দিনের অনুভূতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছায় প্রতি বসন্ত
মধুমালতি-মাধবীর মঞ্জুরীর উচ্ছল ধৃষ্টতায়
আমি হারাই, হারাই এলোমেলো বসন্ত বায়ে
পূর্ণ শশী অম্বরে হাসে বসন্ত রাতে আমা পানে চেয়ে..
সারা গগনতলে বর্ণ, গন্ধ, গানের তুমুলে কোলাহলে
লেগেছে আজ আশ্চর্য্য মাতামাতি…
শীতের ছোঁয়া মিলায় ধীরে ধীরে; ফাগুন আসল বুঝি দুয়ারে
কবিতার সাদা পাতা বসন্তের রঙে হয় রঙিন কাব্যে কাব্যে,
সুরে সুরে বিভোর বসন্তের গানে; পথে প্রান্তরে জীবনের নব দোলা
ফুলের পাপড়িতে কল্পনার রঙের আলপনা এঁকে এসেছে
রঙের উৎসর আবার; দুয়ার রেখো না আর রুদ্ধ করে..
ফাগুনে আগুন বন বনানি সুরের মঞ্জুরি নিয়ে ওই বসন্ত এলোরে ।
এই কবিতাটি নক্ষত্র ব্লগ কর্তৃক পুরষ্কারপ্রাপ্ত