নাস্তিকতা, সমকামিতা ও নারীর সর্বনাশ!
নাস্তিকরা ইসলামের বিরোধিতা করতে যেয়ে সবার আগে চেষ্টা করে নিজের দল ভারি করার। আর এ কারনে তথাকথিত সুশীল ছদ্মবেশ ধরে নারী মুক্তির গান গেয়ে বেরায় তারা। শুধু তাই নয় একটি বিশেষ শ্রেণী যারা সমকামী তাদের সমর্থন পাওয়ার জন্যও নাস্তিকরা উঠে পড়ে লেগেছে।
পুরুষের সমকামিতা যে নারীর সর্বনাশ সেটা আপনাদের বোঝাতে এই ছবির সাথে আর কিছু না লিখলেও হত। সবাই পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি কোন নাস্তিক এটার রেফারেন্স চাইবে না। বিয়ে করে নিরব যন্ত্রণায় পড়েছেন চীনের ১ কোটি ৬০ লক্ষ নারী। যন্ত্রণার কারন , তাদের স্বামীরা সমকামী। এ দাবি করেছেন চিনে খ্যতিমান একজন গবেষক।
এইচ আই ভি এইডস নিয়ে গবেষণা করে চীনের কিংদাও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঝ্যাং বেই-চুয়ান। তার বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত দৈনিক চাইনা ডেইলি লিখেছে, দেশের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের চাপের কারনে ৯০ শতাংশ সমকামী পুরুষ বিয়ে করেন।এই পুরুষদের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে নিরব যন্ত্রণা ভোগ করছে তাদের স্ত্রীরা। চুয়ানের দাবি চিনে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ নারি সমকামী পুরুষদের বিয়ে করে থাকতে পারে । এক সমকামি পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন চীনের সান্নঝি প্রদেশের একটি ম্যগাজিনের সম্পাদক ঝিয়াও ইয়াও। খাপ খাওয়াতে না পেরে ২০০৮ সালে স্বামীকে তালাক দেন ২৯ বছর বয়সী এই নারী। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ঝিয়াও বলেন “সমকামী পুরুষদের স্ত্রী যাদেরকে আমি চিনি তাদের অধিকাংশই নিরব যন্ত্রণা ভোগ করেন”
তাদের স্বামীরা কখনই তাদেরকে ভালবাসে না, আমার মত অনেকেই স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।”
চুয়ানের গবেষণাকে যথার্থ বলে মন্তব্য করেছে বেইজিঙের ৫০ বছর বয়সি সমকামী পুরুষ মেং লিং। তিনি বলে বহু বছর আগে আমিও এক নারিকে বিয়ে করেছিলাম, কিন্তু যখন বুঝতে পারি যে আমি এইচ আই ভি পসিটিভ তখন সমকামিতা থেক সরে আসি”
হায়রে নারী সারাটি জীবন অপেক্ষা করে যাকে তুমি স্বামী হিসেবে বরন করে নেও সেও যদি সমকামী হয় সেটা কি কষ্টের তা বুঝতে নিজের কল্পনাই যথেষ্ট । নির্লজ্জের মত নাস্তিকরা সমকামীদের সমর্থন করে যাচ্ছে।
মুসলিম দেশগুলোতে সমকামিতা এইভাবে দাবানলের মত ছড়িয়ে যায় নি বলে আমাদের নারীদের এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় না। সমকামিতায় জড়িয়ে যায় সে পুরুষ সে এইচ আই ভি এর ভাইরাস বহন করে এনে সর্বনাশ করে তার ভালবাসার জন্য অপেক্ষায় থাকা স্ত্রীটির।
পতিতালয়ে গমনকারী পুরুষদের স্ত্রীরাও অনেকে আজ তাদের স্বামীর পাপের শাস্তি ভোগ করছে কোন অপরাধ না করেই।