এক পশলা বৃষ্টির জন্যে
জানি তোমার ঘাটে আসতে
আজ কিঞ্চিত বিলম্ব-ই হবে, সে কেবল,
এক পশলা বৃষ্টির জন্যে।
পা টিপে টিপে কত দ্রূতই আর আসা যায় বলো,
দীর্ঘক্ষণ প্রতীক্ষায় আমি, কিছুতেই থামছেনা বৃষ্টি।
বুঝি আজ অভিমান হয়েছে বড্ড বেশী।
পিছল রাস্তার দুধারে দুর্বাঘাস গুলো
লজ্জায় নুইয়ে পড়ছে যেন,
পথচারীর পদভারে নির্মমতায় যেন পিষ্ট।
অথচ একটু আগেও ছিল প্রতিটি দুর্বা ডগায়
স্যাঁত সকালের শিশির বিন্দু। অথচ গেল শীতে
প্রিয়ার দুচোখে দু’ফোটা অশ্রু দেখেও
আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হইনি।
ভাবলাম এই চাঁদমুখে
এইতো শীতের শুভ্র উপহার,
দু’ফোটা শিশির বিন্দু।
এই সময়ের বৃষ্টিটা বড্ড ব্যাথা দিচ্ছে,
কিছুতেই কাটছেনা প্রতীক্ষার নির্মম মূহুর্তগুলি।
অথচ সেদিনও চৈত্রের খররোদ্রে
প্রার্থনা করেছিলাম—, এক পশলা বৃষ্টির জন্যে,
যেন কৃষাণের রৌদ্র দগ্ধ শরীরে কিঞ্চিত শীতল অনূভূতি দেয়।
এই মূহূর্তে সেই কৃষকের যেন
এক পশলা বৃষ্টির বড় প্রয়োজন।
প্রার্থনা করেছিলাম- হে বৃষ্টি,
তৃষ্ণার্ত চাতকীটা দীর্ঘ প্রতীক্ষায়,
এক ফোটা বৃষ্টির জন্যে, কখন বৃষ্টি আসবে ?
আমারও প্রতীক্ষা, তবে বৃষ্টির জন্যে নয়,
প্রিয়ার স্নিগ্ধ কোমল হাসিটির জন্যে,
ভেজা কাপড়ে খোলা চুলে দাঁড়াবে পাশে,
তাও ঢের বিলম্ব, সে কেবল—
এক পশলা বৃষ্টির জন্যে।