ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো ?????
পূর্ব প্রকাশিতের পর
রুবিনার বাসার ছাদ থেকে অনেক দুরের রাস্তা দেখা যায়.তাদের বাসার আসে পাশে কোনো উচু বিল্ডিং নাই l সেজন্য অনেকটা দুরের রাস্তা দেখা যায় l সকাল বেলার প্রকৃতিতে এমন একটা নিবিড় ভালবাসার পরিবেশ বিরাজ করে l রুবিনা সকালের মিষ্টি আবহাওয়ার সাথে সবসময় একাত্ততা বোধ করে l সে খুব মানসিক প্রশান্তি বোধ করে. যদিও গত দুই দিন ধরে তাদের একটা হয়রানির আর কষ্টের সময় যাচ্ছিল. হালিমার মৃত্যু টা এখন ও মন থেকে মেনে নিতে পারছেনা l ছাদের এক মাথা থেকে আরেক মাথা পায়চারী করছে আর এসব ভাবছে. দুইদিন পরে আজকে মন টা বেশ হালকা লাগছে l
আপা আপা বলে চিত্কার করে দৌড়ে সিড়ি দিয়ে উঠে আসছে শিউলি
সারাক্ষণ এ মেয়েটা একটা উত্তেজনার মধ্যে থাকে l
আপা আপনার ফোন একটানে হাপাতে হাপাতে কথাগুলি বলে ফোন টা রুবিনার হাতে দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে সিড়ি পার হয়ে চলে গেল l
“কি আমার সুহাসিনী আনন্দিনি র খবর কি ?
সকাল বেলার মিষ্টি বাতাস এর সঙ্গে কে যেন পিয়ানো রীড এ হাত চালিয়ে গেল l·
রাজীব এর ভয়েস এ রুবিনা মনের কোনে যেন দখিনা হাওয়া র পরশ বুলিয়ে গেল l·
রাজীব বস্টন এ এক ইউনিভার্সিটি তে নিউক্লিয়ার ফিসিক্স এ পি এইচ ডি করছে. পড়াশোনা শেষ করে দেশে আসলে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা l
কি ব্যপার আজকে এত তাড়াতাড়ি ফোন ,নিচ্চয় ক্লাস ফাকি দিচ্ছ ,
বোরিং ক্লাস বোরিং দেশ সারাক্ষণ জান তোমার কথা মনে হয় l
আহারে চাপা আমার কথা মনে হয়..সুন্দরী সাদা মেয়ের দিকে নিচ্চয় হা করে তাকিয়ে থাক l
তা যা বলছ এত সুন্দর মেয়েরা আমার ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে. অবাক লাগে সুন্দরী রা রূপচর্চা ছেড়ে কি বই এর পাতা খুলে বসে থাকে এখন?
তোমার রুচি খুব ভালো জানি কারে সুন্দরী বল?
·
দেখনা তোমারে পছন্দ করছি .কপালে কোনো সুন্দরী মেয়ে লিখা নাই
তোমার হাজার জনমের ভাগ্য আমি যে তোমারে ইয়েস কার্ড দিয়েছি কত জন বরমাল্য নিয়ে বসেছিল ..এখনো আছে.
এখনো আছে বলতে কি বুজাচ্ছ ?তুমি কি তাদের দিকে সবসময় কৃপাদৃষ্টি বর্ষণ করছ?
আহারে আমি কি তোমার মত নাকি ?
আচ্ছা যাও সোনামনি আমি তোমার প্রেমিক . কিন্তু আমি আবার তোমার কথায় যে কোনো সময় মরহুম হয়ে যেতে পারি l
ব্যপার কি ম্যাথ আর ফিসিক্স ফেলে কি কবিতার বই পড়ছ?
নাগো সোনামনি সত্যি তোমারে খুব মিস করছি জানি না কেন .বাবার কাছে সুনলাম তোমার জ্বর .
না ঠিক জ্বর না দুই দিন খুব মন খারাপ গেছে.তো .মন খারাপ কেন কেন ?
কি হয়েছে?
আমাদের একটা সুইট করে বুয়া ছিল, হালিমা বুয়া পরশু দিন রাস্তার উপরে ওকে কারা মেরে ফেলে রেখেছে.
ওহ মাই গড!! বল কি কখন ?ইন্নালিল্লাহ এজন্য বাবাকে খুব আপসেট মনে হচ্ছিল l
আমাকে অবশ্য কিছু বলেনি. পুলিশ এ ইনফর্ম করছ.কে খুন করছে জানছ? ইয়া আল্লাহ তাহলে খুব টেনসন গেল
পুলিশ তো আগে ইনফর্ম হয়েছে. ড্রাইভার ভাইকে ধরে নিতে চাচ্ছিল জোর করে.
আমি রাগারাগি করাতে নেয়নি, কিন্তু সামনে আসতে পারে নেওয়ার জন্য
যা হওয়ার হয়েছে, টেনসন করনা ,সব ইনশা আল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে.
নাস্তা করেছ? না এখনো করিনি
তুমি ডিনার করেছ? করব সুন্দরী এখনি
নিচের গেট এ কিসের যেন জটলা হছে খুব শোরগোল হচ্ছে, তাকিয়ে দেখে রুবিনা দারোয়ান ভাই কাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে
জালাল ভাই কি হচ্ছে এখানে?
আপা এই লোকটা জোর করে ঘরে ঢুকার চেষ্টা করতেছে. দারোয়ান জালাল বলে l
আচ্ছা এই দেখছি তুমি লোকটাকে নিয়ে নিচের ড্রয়িং রুম এ বসাও. আমি নিচে আসছি. এই শোন রাজীব তোমার সাথে পরে কথা হবে. নিচে কি গন্ডগোল হচ্ছে দেখে আসি l
নিচে এসে দেখে খুব দীনহীন দরিদ্র চেহারার অল্পবয়সী লোক বাইশ থেকে চব্বিশ হবে বয়স আর তার সাথে ছোট্ট একটা ছেলে l
লোকটি হাউ মাউ করে কানতে কানতে যা বলল তার বউ এখানে কাজ করত, এখন সে মারা গেছে, ছেলেকে মানানো যাচ্ছেনা বলে এ বাড়ি দেখাতে নিয়ে আসলাম বলে আবার জোরে কানতে সুরু করলো l
ও আপনি হালিমা বুয়া র স্বামী ?আপনি ছেলে কে নিয়ে থাকেন যতদিন ইচ্ছে অসুবিধা নাই l
আপা আমারে একটা কাজ দিবেন.আমি যে কোনো কাজ পারি মাটি কাটা, আপনাদের বাগান পরিস্কার করা যে কোন একটা কাজ দয়া করে দেন, আমরা দুইদিন কিছু খাইনি l
রুবিনা ব্যথিত হলো, এই ছোট্ট বাচা টা কি কিছু খায়নি?
রুবিনা আস্বস্ত করলো চিন্তা করবেন না আপনারা আমার এখানে থাকবেন, কাজ করবেন, খাবেন.
আপা আমার মা ও আছে বস্তিতে আছে, তারে কি করব?
তাকে ও নিয়ে আসেন l
শিউলি কেয়ার টেকার চাচাকে একটু ডেকে নিয়ে আস তো l
কেয়ার টেকার চাচা এলেন তিনি পঞ্চাশ উত্তিন্ন বয়স্ক লোক
চাচা এদের থাকার আয়োজন করুন আর দেখেন ওনাকে যে কোনো কাজ দিয়ে দিন. শিউলি ওদের দুজন কে ভাত খেতে দে l
বাবা ছেলে শান শৌকত ব্যবহার দেখে হকচকিয়ে গেছে l টেবিল এ তাদের খাওয়া দেওয়া হলে তারা মেঝে তে বসে খেতে সুরু করলো l
শিউলি হাসতে সুরু করলো ওমা নিচে বসে খাচ্ছিশ কেনরে ?
চেয়ার এ বসে খা .হেরা খুব ভালোমানুষ কিছু বলবে না
মনোযোগ দিয়া খা ..আহারে তগো খুব খিদে লাগছে না ?
=======================================================================================
সারা রাত মিজান দু চোখের পাতা এক করতে পারেনি
এক অসহ্য আবেগ অনুভূতিতে তার সারা শরীর থর থর করে কেপেছে
মনের এক অংশ এ এত আনন্দ এত আনন্দ নিজেকে সামলাতে পারছেনা,
অন্য অংশ একটা কেমন হাহাকার, অপ্রাপ্তি বেদনায় ভেসে যাচ্ছে l
একরাতের মধ্যে যেন অদৃশ্য বিধাতা তার লাইফ টা পরিবর্তন করে দিয়েছে l
এইযে অপূর্ব বাবা আর মেয়ে তাদের অপূর্ব হৃদয়স্পর্শী ভালবাসা য় একবেলায় মিজান এর জীবন টা যেন বদলে দিয়েছে l
দরজায় টুক টুক করে কে যেন নক করছে l
দরজা খুলে কিছুক্ষণের জন্য নিশ্বাস নিতে ভুলে গেল মিজান l
এত ভোরবেলায় স্নান শেষে পরিপাটি রূপে পবিত্র দেবী যেন দরজায় এসে দাড়িয়েছে আজ বর দিবে বলে l
আহ এত অপূর্ব কেন এ মেয়ে টা .একজীবন না একে হাজার জীবন ভালোবাসলে তার ভালবাসার ভান্ডার ফুরাবে না l
মিজান এর অবস্থা টা কিছু বিব্রতকর. পরনে রাতে র পোশাক, চুল উস্কুখুস্কু এরকম চেহারা নিয়ে কোনো ভদ্র অভিজাত সুন্দরী র সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়া অস্বস্তিকর l
আয়নায় না দেখে ও তার চেহারা কেমন হয়ে আছে বুজতে পারছে l
কেয়া হেসে ফেলল তার অবস্থা দেখে ,
শুভ সকাল দেখে তো মনে হচ্ছে রাতে ভালো ঘুম হয়নি l
কারো সাথে মনে হয় যুদ্দ করেছেন ?
তার চোখে মুখে কিছুটা দুষ্ট হাসি
হা আমার নিজের সাথে, আমার অসহায় অবস্থার সাথে, বলতে বলতে গলা ভারী হয়ে গেল মিজান এর l
সব সময় এসব ভাববেননা প্লিস, সব দেখবেন একসময়ে ঠিক হয়ে যাবে l
বলতে বলতে কেয়ার চোখ মুখ সজল হয়ে গেল l
তাড়াতাড়ি আসুন বাবা আপনার জন্য নাস্তা নিয়ে টেবিল এ বসে আছেন
আল্লাহ উনি কেন কষ্ট করে বসে আছেন, ওনাকে খেয়ে ফেলতে বলুন, আমি পরে বাহিরে গিয়ে কিছু খেয়ে নিব
আরে আসুন তো তাড়াতাড়ি আর কোনো বাদানুবাদ এর সুযোগ না দিয়ে কেয়া নিচে নেমে গেল l
খুব দ্রুত ওয়াশরুম এ ঢুকে নিজেকে ভদ্রস্ত করার চেষ্টা করলো মিজান
কোনো ফল হয়নি , অগত্যা এই উদ্ভ্রান্ত চেহারা নিয়ে আবার কেয়ার সম্মুখীন হওয়া l
“কি হয়েছে বাবা তোমার, শরীর খারাপ নাকি ” এমন দেখাচ্ছে কেন?
বাবা উনি রাতে না ঘুমিয়ে ওনার এক বন্ধু র সাথে কানা মাছি ভৌ ভৌ খেলেছে বলে ফিক করে হেসে ফেলল কেয়া l
মনে মনে বলল দুষ্ট কেয়া l
বস বাবা নাস্তা কর চাচা জি প্লেট ডিম তুলে দিলেন l
টেবিল অনেক ধরনের নাস্তা সাজানো,তার মনে ও পরেনা কখনো তার মা ও কি এভাবে খাইয়েছে কিনা ,আবার চোখের পানি চলে আসছিল প্রায়
কেয়া প্লেট এ রুটি সাজিয়ে দিল, ডিম, সবজি ,দিল
বাবা আর মেয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে তাকে দেখছে সে খুব বিব্রত বোধ করছে .
ওকি এখনো একটা রুটি নিয়ে বসে আছেন? রুটি সরিয়ে রাখুন পরোটা খান মিষ্টি দিয়ে.
এত যত্ন, আদর ভালবাসা মিজান এর জীবনে প্রথম l
খাওয়া শেষে চাচার সঙ্গে কথা হলো, জানা হলো তাদের একমাত্র ছেলে অস্ট্রেলিয়া তে সেটেল করেছে, সে খ্রীষ্টান হয়েছে, এক অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন বিয়ে করে, দেশে আসার কোনো সম্ভাবনা নাই l তার তিনটা প্রেস আছে এসব দেখা শোনা করার মানুষ এর অভাব l
বৃদ্ব এর আবেগ এর কারণ এতক্ষণে বুজলো. ইনি তার ছেলেকে খুব মিস করছেন. মমতায় মিজান বৃদ্বর হাত নিজের হাতে নিয়ে বুলিয়ে দিল l
পরম নির্ভরতায় চাচা ও তার হাত চেপে ধরলেন l
চাচা আমাকে দিয়ে যদি আপনাদের কোনো উপকার হয় তো বলেন
আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের কাজে লাগতে l
আমি চাচ্ছি তুমি যদি আমার প্রেস গুলি দেখাশোনা কর , আমার বয়স হয়ে গেছে , আগের মত পারিনা সব দেখে রাখতে, মেয়েটা চলে যাবে বিয়ের পরে, তখন তো আমি একেবারে একলা হয়ে যাব l
মেয়েটা চলে যাবে? হায় কেয়া কি চলে যাবে সত্যি, তার জীবন থেকে সত্যি হারিয়ে যাবে .এতদিন ছিল ব্যপারটা অন্যরকম, আজকে সে কেয়া বিহীন তার জীবন ভাবতে পারেনা. অন্ততপক্ষে যদি প্রতিদিন একবার করে দেখা যায়..তবু সে সন্তুষ্ট থাকবে l
মনটা খারাপ হয়ে গেল. একটু আগের আনন্দ টা যেন মন থেকে চলে গেল আবার l
চাচার কথায় আবার চিন্তার সুত্র ছিন্ন হলো l
কেয়া অবশ্য বাহিরে যেতে যায় না, বাহিরের ছেলে বিয়ে করতে চায়না
এই ছেলেকে সে বিয়ে করতে ও চাচ্ছেনা, আমার বন্ধুর ছেলে , বলা যায় একরকম জোর করে ওরা কেয়াকে নিয়ে যেতে চায়. ওদেরকে কিভাবে নিষেধ করব তা বুজতে পারছিনা বাবা l
বিয়ে তো ঠিক হয়ে আছে তাইনা ? দেখেন আপনারা সামনা সামনি বসে কথা বলেন নিজের সমসস্যা নিয়ে, অনেক কষ্টে এই কথা টা বলতে পারল মিজান l
ও বাবা তোমার জন্য তিনতলা র বাম দিকের ফ্লাট টা কেয়া ঘুছিয়ে রেখেছে, এটা আমার ছেলের রুম ছিল, মনে কর বাবা তুমি ও এখন থেকে আমার ছেলের মত
কোনো সংকোচ করবেনা, যে কোনো কিছু মনে হলে আমাকে বা কেয়া কে বলবে কেমন l
কেয়া এসে বলল চলুন আপনাকে বাসাটা দেখিয়ে দেই l
আহ মেয়েটাকে এত সুন্দর লাগছে .কেয়াকে অনুসরণ করে তিনতলার যে ঘরটাতে
পৌছল তাতে আবার আল্লাহ কে কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে পারলনা. এত ভাগ্য, এত আনন্দ, এত সুখ আল্লাহ তার জন্য রেখেছিল সে ভাবতে ও পারছেনা l
সুধু তার জীবনে আরেক টা আরাধনার ধন কেয়া …কেয়া ..কেয়া
সর্গ থেকে আসে প্রেম
সর্গে চলে যায়
দিয়ে যায় কিছু মহান সৃতি
========================================================== ==========================
দৌড়াতে দৌড়াতে তার বুক হাপর এর মত উঠানামা করছে পিছনে দুই পুলিশ বাশী তে ফু দিয়ে তাকে তাড়া করছে .এই প্রথম পুলিশ এর সামনে পড়ে গেছে দিদার । জঙ্গলে কাটা গাছে তার হাত ছিড়ে গেছে, পা কেটে গেছে তার পর ও পাগল এর মত প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছে l
যাক আফিম চালান টা রাফির হাতে পৌছে দিতে পারছে .এখন সুধু প্রাণ হাতে করে দৌড়ানো l
পিছনে থেকে পুলিশ সেন্ট্রি চিত্কার করে বলছে ,
“বেটা থাম বলতেছি তাহলে গুলি করব কিন্তু ।
তাদের কে ইন্সট্রাকশন দেওয়া আছে কখনো ধরা পড়া চলবেনা, হয় পুলিশ এর গুলিতে মরে যেতে হবে আর না হয় তার সাথে সাযনিদ ক্যাপসুল আছে ধরা পড়লে ওটা খেয়ে ফেলতে হবে, খেয়ে ফেললে শেষ. এভাবে একদিন মরে যাব .এজীবন রেখে বা লাভ কি l
বরং জীবন টা অভিশপ্ত তাদের দেওয়া ড্রাগ এ কত মানুষ মারা যায়
কত অল্প বয়সী ছেলে মেয়ের জীবন নষ্ট করার জন্য দায়ী সে l
কত মানুষের অভিশাপ নিয়ে যে কবরে যেতে হবে .একজায়গায় একটা গর্ত দেখে তার ভিতরে ঢুকে পড়ল, দ্রুত পাতা দিয়ে জায়গা ঢেকে দিল.মনে মনে দোআ ইউনুস পড়তে থাকলো. আশেপাশে বুট জুতার আওয়াজ আর কথার আওয়াজ সোনা যাছে, নিশ্বাস বন্দ করে পড়ে রইলো l
বুক পকেট থেকে মায়ের ছবি টা বের করে হাতে নিল.
“আমারে মাফ করে দিস মা,তোর্ জন্য কখনো কিছু করতে পারি নাই মা
এবার আমি যদি বাইচা ফিরা আসতে পারি মা তোর্ বাধ্য ছেলে হয়ে থাকব মা ,তরে আর কোনো কষ্ট দিবনা মা. তুই কেমন আছিস আমার মা , কতদিন দেখিনা তোর্ মুখ টা l
মা আমার মা ঢুকরে কাদতে কাদতে গর্তের মধ্যে ই সে ঘুমিয়ে পড়ল l
ঘুম ভাঙ্গলো পাখির কিচির মিচির শব্দে, ধরমর করে উঠে বসলো, ও খোদা এখানে এতক্ষণ ঘুমাইছিল.মুখ টা একটু তুলে উপরের দিকে দেখার চেষ্টা করলো , সন্ধ্যা নেমে আসছে, তাড়াতাড়ি গর্ত থেকে উঠে আসল. কিছু খেতে হবে, তিন দিন ধরে কোনো খাওয়া নাই, দৌড়ের মধ্যে ছিল l
উপরে উঠার পর ধর ধর বেটারে, একেবারে পুলিশ এর সামনে, ও পুলিশ ওত পেতে বসে ছিল. ফাদে পড়ে গেছে , আর পালানোর কোনো উপায় নাই দেখে ক্যাপসুল টা মুখে দিয়ে দিল l
মারে আমারে মাপ করে দিস, আমার তোর্ জন্য আর ভালো হওয়া হলনা রে মা
তোর্ অযোগ্য হতভাগা ছেলে রে মাপ করে দিস রে মা, বলতে বলতে চেতনার গভীর অতলে তলিয়ে গেল সে l
এই ধর ধর বেটা সুইসাইড করতেছে, তাড়াতাড়ি এসে সার্জেন্ট মুখ থেকে ক্যাপসুল টা ফেলে দিল. কিন্তু ততক্ষণে শরীরে তার বিষক্রিয়া সুরু হয়ে গেছে .মায়ের ছবি হাতে নিয়ে মা বলতে বলতে অন্যজগতে চলে গেল সে?
পরবর্তিতে