স্মরণ
তুমি চলে গেলে রৌদ্রহীন নগরে
রেখে গেলে একমুঠো স্মৃতি
এমনই চলে যেতে হয় জানি
কিন্তু এভাবে অকালে অকারণে
সবকিছু এলোমেলো করে চলে যাবে–
বিষাদের কোকাফে সাঁতারে শুধু স্মরণ
কোথায় মিলে আর আলোদীপ্ত নগর
শোকের করিডোরে দাঁড়িয়ে শুনি আর্তনাদ
কাঁদছে ব্যথিত আকাশ–অবকাশ নেই
অঝরধারায় ঝরছে ঝরঝর চরমাঘাতের অশ্রু।
তুমি যে আত্মার আত্মীয়
তুমি ছাড়া কে বুঝে আত্মদহন।
যুগের তপস্যায় যদি দেখা মিলত তোমার
আবার যদি আসতে তুমি ফিরে
আবার যদি ধরতে চেপে ভালবাসার হাত
আর যদি যেতে না হত অন্যসংসারে
আবার যদি সুখের ডাঙ্গায় হত তোমার বসবাস
সেই পূর্ণতাবেশে–বিদায়াঞ্চল যদি উঠত না আর গায়
পৃথিবীর সব যাত্রিক যদি একবার ফিরে আসত ঘরে
চিরকাল যদি রয়ে যেতে জীবননাথের দেশে
সবুজ ঘাসে যদি চালাতে পারতে অবিরত সোনালি পা–
তবে বিধাতাকে ধন্যবাদ।
সেকি হয়–হয়েছে কি কবে পূজকের জয়?
আজীবন মানসরাজ্যে কেবল জীবিত থাকে স্মরণ।
২১ কার্তিক, ১৪১৬-
চট্টগ্রাম।