তোতার মিয়ার ভাবনা
তোতা মিয়া গভীর রাতে বসে ভাবে
লিখবে একটি ছড়া,
অনেক ভেবেও যখন পাইনা ছন্দ
তখন মেজাজটা হয় চড়া।
শত চেষ্টায় যখন পারেনি
মেলাতে কোন ছন্দ,
তখন ছড়া লিখার আশা
করে দিল বন্ধ।
এবার তোতা মিয়া ভাবল,
শিল্পী হয়ে গাইবে গান,
সা-রে-গা-মা বলে
দিলো গানে টান।
আবুল তাবুল গাইছে গান
নেই কোন তাল,
গানের নেশায় তোতা মিয়া
হয়ে গেছে মাতাল।
ছড়ার মত গানেও যখন
পারেনি মেলাতে সুর,
তাইতো ছাড়তে বাধ্য হলো
গানের আসর।
তোতা মিয়ার এখন
কোথাও শান্তি নেই,
হায়! হায়! কি করবে
পাই না কোন উপায়।
আবার তোতা মিয়া ভাবে
হবে ক্রিকেটার,
সারা বিশ্বের মানুষ
খেলা দেখবে তার।
একদিন তোতা মিয়া
খেলতে নামল সকালে,
ব্যাটের বারি বলে না লেগে
লাগল তার কপালে।
তার খেলা দেখে যখন
দর্শক হেসে কুটি কুটি,
তখন সে লজ্জায়
মাঠ থেকে নিল ছুটি।
কেন তার কপাল খারাপ?
কেন কিছুতেই পায়না সাড়া?
যেখানে গেল সেখানেই
খেয়েছে ধরা।
পরিশেষে সে সিদ্ধান্ত নিল
করবে ভাল করে লেখা পড়া,
আর খেলবে না ক্রিকেট,
গাইবে না গান, লিখবে না ছড়া।