একটা কবিতা লিখবে?
বলি, এখনি সময় সহজ হওয়ার
মুখটাকে সর্বক্ষন ধুমায়িত কফি মগ বানিয়ে রেখ না।
ছোঁয়াগুলোর পাশে থাক না হয়;
দেখবে দেহে মনে নেমে আসবে শীতভোর।
আমি জানি, তোমার আকাশে পাখিরা উড়ে না,
একফুটো শুভ্র জলও নেই তোমার সমুদ্র চোখে;
চোখ নীল জলে টইটুম্বর,
চুয়ে চুয়ে পড়ে যেনো আমার বুকের ছোট নদীতে।
ফিরে আসতে দেরী করনা,
আসতে আসতে দ্বি-প্রহর হয়ে গেলে ভাল থাকা হবে কিভাবে!
পার যদি, এসো আমার আকাশে,
এখানে সাদা পায়রার দল ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়,
একটি পায়রা শুধু একা আকাশে উড়ে, দুরে দুরে..
দেখ চেয়ে, তুমি না হয় তার সাথি হও;
পাশে পাশে উড়ো ইচ্ছেমতো,
এইটা আমার আকাশ; তোমার আকাশের চেয়ে অনেক বড়।
বলছি শুন, মুখ জুড়ে প্রখর রোদের উত্তাপ নিয়ে এভাবে তাকিয়ো না,
ঝলসে যায় আমার বপিত পাতাবাহার,
কচকচে সবুজ পাতা ধারণ করে বাদামী রং।
বরং মুখে ছড়িয়ে দাও ঝিরঝির বৃষ্টির নরম আলতো পরশ,
আমি হাত পেতে নিব জল, ছিটিয়ে দিব পাতাবাহারে,
সবুজ স্নিগ্ধতায় ভরবে কিশলয়….
আর যদি নাই পার এসব,
তাহলে ধুমায়িত গরম কফির মত,
ঝাঁঝালো একটা কবিতা লিখো আমার জন্য;
গরম কবিতায় থাকবে নরম স্পর্শ;
কবিতায় আলোকিত প্রখর রোদ্দুরের ঝিলিক….
না হয় কবিতা দিয়ে পুড়িয়ে দাও আমায়
আমি বাঁচি কবিতায়;
অন্তত এইটুকু কর আমার তরে,
পারবে না বল?