একটা সই চাই….
ছোট্ট বেলার সেই কথা
মনে রইছে আজও গাঁথা,
দাদির পিছে পিছে
না থাকলে জীবনটা হতো মিছে।
বড্ড আদর করতো দাদি
সঙ্গে না রাখলে যে কাঁদি!!!
সঙ্গে নিয়া আমায় শুইত
হাবিজাবি কত কথাই কইত।
সারাদিনই দাদির পিছু পিছু
ভাগ করে খেত, খাইলে কিছু।
আমার দাদির ছিল একটা সই
আহারে কত্ত যে ছিল মিল,
কেমনে বুঝাই কই।
সইয়ের বাড়িটা কিছুটা দুর
দাদি ছুটত, হলেই ভোর।
সাথি করে আমায় নিত
বেড়াইতে পেরে হতাম প্রীত।
লেখাপড়া গোল্লায় যাক, আগে বেড়াই
মা, আমায় পাবে কই, ছাড়লে হাক,
জেনেই সে পথে পা বাড়াই।
পাশে বসে দাদি আর সই
পানের বাটা হাতে লই,
পান সুপারী খেয়ে দুইজন
আলাপচারিতায় মত্ত,
দুইটি মন হইছে যোজন ।
শুনতাম বসে তাদের, সুখ দুখের আলাপন!
সময় পেরোত কত,
সহজেই করা যেত না বিয়োজন।
আহ উল্টে পাল্টে স্মৃতির খাতা
দাদির জন্য ভিজে চোখের পাতা।
এমন মানুষ পাই কই
আমারও লাগবে প্রানের সই।
যারে বলা যাবে সব কথা!
তার লগেই হবে আমার সই পাতা।
======================