সংরক্ষন
মুখ থুবরে পড়ে গেছে জীবন পাথরের বুকে, পথ ভুলে মাঝি দাঁড় টেনে
চলে গেছে আলেয়ার সভায়; যে নদী ভুলে প্রবাহের দিক তার বুকে এনে
উড়ন্ত বাদাম উড়ে যায় দূরে অসহায় ডিঙি ডোবায় আলেয়ার আগুনে।
জন্ম দিয়ে চলে গেছে ব্রজবালা, স্বর্গদ্যানে গাছের নিচে কেটেছে রাত।
যে সত্য নিশ্চিহ্ন করে স্নিগ্ধ সকাল তার অভিশাপে তার হয় প্রভাত;
সেই জীবন বয়ে বেরায় পাতালপুরী নিঃস্ব হয়ে বহুযুগ আগে হঠাৎ।
শ্যামা পাখি কৃষ্ণ নাম জপে দিন করে পাড় তবু চিরতরুন গণিকার
রুপ ঘা জেনেও নেশায় আসক্ত সমাজ চেটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত তার।
আর বোকা ময়না-তোতা শিখে গেছে ঘৃনা করতে, সে প্রান শুধু অবহেলার।
চাবি ঘুরিয়ে বন্ধ করে রাজা নদীর কপাট, জল ভুলে গেছে কোন কালে
জেগেছিল চর। ডিঙি ভুলে গেছে পথের দিশা তাই আলেয়ার আগুনে জ্বলে
ঘায়ে ঘায়ে ভরছে বিশ্ব, শুধু ঘৃনা পেয়ে তবু বেঁচে আছে শুন্যতার কোলে।
যত আসহায় হীন প্রান গোধুলীর আলো মুছে গেলে নক্ষত্রের আগমনে
পায় না খুঁজে আকাশের রুপ, চাঁদনীর আলো ধরা দেয় না চাওয়ার প্রানে।
সে সব অসহায়ের মনে ঘাঁ হয়েছে বহুদিন তাই সুখ খোঁজে বাঁইজির গানে।
আর সৈনিক নামে নিঃস্ব পশু প্রভাতীর গান গেয়ে শুরু করে অসম্মান,
তাই আজও যুদ্ধ মানে কপাল পুড়লো লক্ষ নারীর, সদা নিত্য নতুন
জিহাদী বিয়ের ফন্দি আটে রাজার রাখাল, নিশিদ্ধ শিশু-গণিকাই দান।
কোন ঈশ্বর আসবে নরকে নিতে? কোন ঈশ্বর অগ্নি করছে সংরক্ষন?
আজীবন জ্বলেছে যে হৃদয় দেহ পারবে জ্বলাতে তারে আর কোন আগুন?
পল্লীর পাশে নিশিদ্ধ পল্লী, শহরের পাশে নিশিদ্ধ শহর, হে অসহায় মানব মন
আর কতকাল মেনে নিবি এমন নীতি মানুষ হয়ে মানুষেরে ঘৃনা, যুদ্ধবাণ?
০৩.১১.১৩, ঢাকা।