আমায় যেন ভুলে যায় সবে
আমায় যেন ভুলে যায় সবে,
বিধাতার কাছে বলি হৃদয়ের কল্পনার।
আমায় যেন ভুলে যায় সবে,
স্বপ্নের চূড়ার বাস মহাবিশ্বের আলপনার।
মহাসভ্যতা যুগের তাড়নায় ভাগ হয় শতাব্দীতে,
অস্তিত্ব স্মৃতি হয় অনস্তিত্বের দাবীতে,
হৃদয়ে কিয়দংশ কাজে লাগাতে পারি যে জীবনে,
সে জীবন কত বড় মনে হয় স্বপ্নের মনে!
আমায় যেন ভুলে যায় সবে,
আমাকে ঢেকে দিতে পারে যে আকাশ সে কাঁদে।
আমায় যেন ভুলে যায় সবে,
নিঃস্ব প্রেমিকা অপলক চোখে তাকিয়ে থাকে চাঁদে।
পাথরের যুগে ডায়নসরের চোখ হারায়েছে পৃথিবী,
তার জন্ম থেকে আলোর পথে জেগেছে রবি,
তবুও অবহেলায় হৃদয়ের মাঝে হয়েছে সূর্যগ্রহন,
সহস্র শতাব্দী বেঁচেও শেষ হয় নক্ষত্রের জীবন।
আমায় যেন ভুলে যায় সবে,
রক্তের দাগ মুছে দিয়েছে বিধাতার কাব্য।
আমায় যেন ভুলে যায় সবে,
যুদ্ধে রক্ত দিতে দিতে পৃথিবীর রাত সভ্য।
রক্তিম আকাশে গোধুলীমার বাস নিঃশব্দে,
রুপের তাড়নায় সূর্যের আলো চলে যায় চাঁদে।
অভিমান ভুলে গিয়ে অতীত হয় প্রতিটি মুহুর্ত,
কালে কালে সেই ব্যাথাতে মানুষের প্রেম ধুর্ত।
আমায় যেন ভুলে যায় সবে,
যে শতাব্দীতে জন্মে হৃদয়ের বাস অমানবিকতায়,
আমায় যেন ভুলে যায় সবে,
আমি মরে যেত চাই সব ভুলে নির্দিধায়।
৩১.১০.১৩, ঢাকা।