মাথা ব্যাথা
মুখ তো নয় …মেল ট্রেন চলছে..চলছে ….
শুনে শুনে মাথা ব্যথা,মন প্রাণ টলছে ।
কখনও না কখনও মাথা ব্যথা আমেদের সকলেরই হয়েছে আর কোনও কোনও ক্ষেত্রে এটা নিয়মিত ব্যাধি । প্রায় প্রত্যেক সংসারের খুটিনাটি ওষুধের মধ্যে ,এই সমাস্যা সমাধানের জন্য আসপিরিন বলতে গেলেই থাকেই ।কখনও কখনও ব্যথাটা সামান্য ,কখনও বেশি আবার কখনও এমন সাংঘাতিক হয় যে ডাক্তার না দেখিয়ে উপায় নাই ।মাঝে মধ্যে ব্যথা করলে তেমন কিছু চিন্তা নেই একটা আসপিরিন (ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ) মুখে পুরে দিলেই চলে কিন্তু ঘন ঘন হলে কোনও অন্তর্নিহিত রোগের ইশারা হতে পারে । এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ দিয়ে ব্যথা দমন করা বিপজ্জনক হতে পারে । কাজেই , সাধারণ নিয়মে যদি সপ্তাহে দুবারের বেশি মাথা ব্যথা হয় , আর সেটা তিন মাসের বেশি চলে তাহলে ব্যাপারটা গুরুত্ব আরোপ করে ডাক্তারের মতামত নেওয়া দরকার ।
বোধহয় সবচেয়ে প্রচলিত ও নিতান্তই নির্দোষ মাথা ব্যথা হল টেনশন হেডেক ।এটা হয় অত্যাধিক উদ্বেগ ,চিন্তা এবং চাপা উত্তেজনায় । মাথা ব্যথা হলে মেজাজ খিটখিটে হয় এবং ইচ্ছে করে কেউ কথা না বলুক ।হয়তো কর্মক্ষেত্রে কর্তাকে নিয়ে সমাস্যা অথবা হয়তো নতুন বাড়ি তৈরীর মাসিক কিস্তি কি ভাবে কোথা থেকে ব্যাবস্হা করা যায় তার ভাবনা । এই ভাবে যখন মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করা হয় তখন মাথায় প্রয়োজনাতিরিক্ত রক্ত ওটে এবং ব্যথাটাকে বাড়িয়ে দেয় ।এই ধরনের মাথা ব্যথা দিনের শেষে বা বিশ্রাম নিলেই কমে যায় ।মাথার করোটি বা রগের আশেপাশে টিপলে মাংসপেশি শিথিল হয় বলে ব্যথা কমে যায় ।
মাথা ব্যথার জন্য আমরা কপালে মলম মালিশ করতে পারি যা ক্ষতিকর নয় । বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলদের জন্য ,যারা ওষুধ খেতে পারেন না ।সাধারণত গর্ভাবস্হায় ওষুধ যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল কারণ তাতে ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে ।কখনও কখনও স্কুল থেকে ফেরার পরে বা কিছুক্ষণ পড়াশোনার পর ছেলেমেয়েরা মাথা ব্যথার কথা বলে থাকে । অনেকেই মনে করেন এটা হয়ত টেনজন জনিত মাথা ব্যথা । কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটে চোখের প্রতিসারি ত্রুটির জন্য যার জন্য হয়তো চশমার প্রয়োজন ।মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সপ্তাহ খানেক আগে মাথা ব্যথা করে থাকে ।এটা হয় কারণ এই সময়ে দেহে অত্যাধিক তরল পদার্থ জমা হয় তাছাড়া হরমোন সংক্রান্ত পরিবর্তন এর কারণে ।এ সব ক্ষেত্রে ডাক্তার এমন মূত্রবর্ধক ওষুধ দিতে পারেন যার ফলে দেহের অতিরিক্ত তরল পদার্থ মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায় ।