Today 12 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

দুইজন অমরাবতীর গল্প (বিজ্ঞান কল্পকাহিনী )

: | : ১২/১১/২০১৩

পূর্ব প্রকাশের পর

মহাকাশ যান অপপলে এন্রয়েদ এর ভাগ্যাকাশে আবার নুতুন এক দুর্যোগের সূচনা হইতে পারে। মনুষ্যকুল থেকে শক্তি চলিয়া যাইতে পারে অপরাজিত যান্ত্রিক শক্তির কাছে। কয়দিন ধরে এ ভবিষ্যতবানী করিয়া যাইতেছেন বৃদ্ভ ফাদার পটার। তার কাজ হচ্ছে সৌর মন্ডলী গ্রহ নক্ষত্র দেখিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা যেমন তেমনি তিনি মাঝে মাঝে আনন্দের সাথে আরেকটি কাজ করেন বিবাহে ইচ্ছুক তরুণ ছেলে মেয়েদের বিয়ে পরিয়ে দেন। অবশ্য এই যানে এই মুহুর্তে বিয়ে করার উপযোগী কোনো তরুণ তরুণী নাই। বা থাকলে তাদের এখন বিয়ে করার সময় নাই। তারা বৃহত্তর পৃথিবীর জন্য মানবিক গবেষনার কাজে সারাক্ষণ নিয়োজিত থাকেন। প্রেম বিয়ে ভালবাসা এসব আবেগিক ব্যাপার তাদের কাছে বিলাসিতা বা কোনো একটা উদ্ভট ব্যাপার এর মত।

সেই পটার আঙ্কেল বারবার বলতেছে বিপদ বিপদ এথেনা তোমরা যুদ্দের প্রস্তুতি নিয়ে রাখো। এথেনা আর জেরমিক্স মুখ চাওয়া চাওয়ি করে হাসে। পরপর দুইটা শক তার নিজের বোন্ এর মৃত্যু তারপর ত্রিনিদাদ এর মৃত্যু আঙ্কেল একটু কুকু হয়ে গেছে।

ইরা কফি এনে রাখল সবার জন্য। চলে যেতে এথেনা আটকালো তাকে , ইরা এখন থেকে আমার চেয়ার এ তুমি কাজ করবে জেরমিক্স এর সাথে। জেরমিক্স তোমাকে সব বুঝিয়ে বলবে বলে এথেনা পটার ফাদার সহ বের হয়ে গেল।

ল্যাব এ এখন সুধু ইরা আর জেরমিক্স। যেটা ইরা কখনো চায়না। সে বিব্রত বোধ করতে শুরু করলো।

একইসময়ে এই যান এর আরেকটি রুদ্দধার প্রকোষ্ঠে গোপনে এক জরুরি বৈঠক হচ্ছে। সব নিরাপত্তা রক্ষী রোবট দের বৈঠক। মানুষ যেমন এদের কে আর সহ্য করতে পারছেনা তেমনি এই রোবট গুলো মানুষকে মনে করছে এক হিংসুটে বেয়াদব জাতি।

নিরাপত্তাকর্মী রোবট দের ভাইস এডমিরাল জেড আয়াবর এসেছেন সবার জরুরি কল এর আহবানে। তিনি এসেছেন সব রক্ষী কর্মী দের বেশ চঞ্চলতা যেন কে কার আগে তার কাছে মানুষ সম্পর্কে কমপ্লেন করবে।

আপনারা সবাই আসন গ্রহণ করুন প্লিস একে একে সবার অভিযোগ আমি শুনব এবং অতপর ভেবে ডিসিশন নিব যে কি করা যায়।

প্রথমে এখানে এই যান নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরা সেলেজ প্রথমে একটা লিখিত বক্তব্য তার হাতে দিলেন এবং তিনি নিজে সেখান থেকে পড়তে শুরু করে দিলেন।

মহামান্য জেড মানুষের অন্যায় আর পাশবিক আচরণে হার মানিয়া আমরা আপনার দারস্থ হইতে বাধ্য হইয়াছি। তার বক্তব্যে এর মধ্যে একজন দেখালো মহামান্য জেড দেখুন একজন মানুষ আমার কি করেছে ? পা তুলে দেখালো তার পা একদিকে টেপ খেয়ে গেছে। আমি এখন খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলি।

আরেকজন দেখালো তার একটা চোখ ডেবে গিয়েছে একজন মানুষ এর সাথে মারামারি করতে। সেই মানুষ নাকি কোনো কারণ ছাড়া তার উপর চড়াও হয়ে আক্রমন করেছে।

তুমি কি কিছু ই করনি সেই মানুষটা কি পাগল ?যে তোমাকে আক্রমন করেছে ?

আমি কেন তাদের স্বামী স্ত্রীর বেড রুম এ ঢুকে তাদের কে প্রেম করতে বাধা দিয়েছি এটা তার রাগের কারণ।

মানুষ গুলা অনেক পিকিউলার ফানি অযথা কথা বলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করে , অকারণে সারাক্ষণ হাসতে থাকবে ,নারী পুরুষ সারাক্ষণ পরস্পরকে ধরে বসে থাকে। কোনো কাজ নাই , দেশের জন্য ভালবাসা নাই ,মহাকাশ এর উন্নতির জন্য কোনো পদক্ষেপ নাই , এ এক উদ্ভট জাতি।

আমরা এদের আন্ডার এ আর থাকবনা মহামান্য জেড একজন তরুণ রক্ষী প্লীহা নাম টেবিল চপেটাঘাত করে এ কথা বলল।
রিলাক্স প্লীহা বলে উঠলেন জেড নিয়মানুযায়ী আমরা কখন মানুষের বিপক্ষে যেতে পারিনা এটা রীতি বিরুদ্ধ। আমাদের বানানো হয়েছে মানুষের নিরাপত্তার জন্য আমরা তাদের নিরাপত্তার হুমকি হতে পারিনা। দরকার পড়লে আমরা মানুষের জীবন রক্ষার্থে নিজের ধংশ করে ফেলতে হবে এইভাবে আমাদের সিস্টেম করা হয়েছে।
আমি অত্যন্ত দুখিত তোমাদের কে বিকল্প কিছু ভাবতে হবে। মানুষকে শাস্তি আমরা দিতে পারিনা। মানুষের শাস্তি দিবে মানুষের মধ্যে যে জাজ আছে তারা আর পাক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। আমার এই পর্যায়ে যাইনি। মানুষ যেখানে সৃষ্টি করেছে আমাদেরকে সেখানে আমরা কিভাবে এত অবিশ্বস্ত হব। এটা নৈতিকতা বিরোধী। এটা আমরা কিছুতে করতে পারিনা প্লীহা।

প্লীহা ভিতরে ভিতরে বেশ রেগে থাকলো। কিন্তু মহামান্য জেড এর বিপক্ষে কারো কথা বলার কোনো সাহস নাই।

মিটিং শেষ হয়ে গেল মহামান্য জেড চলে গেলেন তার নিজের কর্মস্থল এ। প্লীহা এবং তার কিছু অনুরাগী নিরাপত্তা কর্মী আছে যারা জেড এর ডিসিশন কে ভালো চোখে নিতে পারেনি। সবাই চলে গেলে ও তারা বসে থাকলো।

দুজন আছে জমজ ভাই এপেক এবং মেপেক তারা লাফাতে শুরু করলো মানুষের মত আমি ওখানে আর কাজ করবনা। মানুষ খুব হিংস্র প্রাণী। প্লীহা আমাদের কিছু করতে হবে এভাবে আমরা নিজেদেরকে মানুষের কাছে তুলে দিতে পারিনা।

অনেকক্ষণ চিন্তা করে প্লীহা কোনো কুল কিনারা খুঁজে পেলনা।

শেষ পর্যন্ত তার চোখে মুখে খুশির আভাস দেখা এই চিন্তা মাথায় আসতে।

আস্তে আস্তে শেয়ার করলো তার সব বন্ধুদের সাথে। এটা কিন্তু খুব বিপদজনক তুমি এটা কি বলছ আমরা কিছুতে মহামান্য জেডকে আঘাত করতে পারিনা প্লীহা সুহা বলে একটা মেয়ে রোবট বলল ,তিনি আমাদের অভিভাবক এর মত।
তাহলে আর কি মানুষের অমানসিক নির্যাতন সয্য করতে চাও কর তোমরা। আমি আর এখানে নাই হয় আমি নিজেকে ধংশ করব নাহলে ওই মানুষগুলোকে ধংশ করব

সবাই চিন্তাযুক্ত হয়ে বসে রইলো ,কি যে তারা করবে কিছু ই বুঝতে পারছেনা।

(পরবর্তীতে)

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top