নিরবধি
ভালবেসে ভুলে গেছে প্রেমিক বহুদিন আগে,
আজ অভিমান মুছে গেছে প্রেমিকার মনের;
যে জোনাক জ্বলেছিল সেই সব রাতে
তা মরে আজ ভুত হয়ে গেছে,
যেই সব রাতে প্রেম ছিল দুজনার মনে,
যেই সব রাতে স্বপ্নগুলো চলে যেত আসমানে;
চাঁদ এসে নিয়ে যেত কামনার রুপ,
আকস্মাৎ তাতে উঠল জ্বলে বেদনার ধুঁপ।
আজ শুধু শীতের কুয়াশার সাথে আসে স্মৃতির ধুয়া,
আজ শুধু রঙিন আকশের মাঝে কালো মেঘের ছোঁয়া।
মাঝরাতে বৃষ্টি পড়ার শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়া,
আকস্মাৎ বিদ্যুতের জ্বলকানিতে ভেসে উঠে চাওয়া-পাওয়া,
বাজ পড়ে স্মৃতি রোমন্থনের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে যায়
সেই সব রাত ছিল না এই সব রাতের মত অসহায়।
দিনে দিনে বহু দিনে কাজল ফুরিয়ে গেছে,
শুরমার আলিঙ্গন পায় না বহুদিন ধরে চোখ,
লাল সিঁদুর হয়েছে ধুসর বহুদিনে গোধুলীর পথে চেয়ে চেয়ে।
শুধু চোখের মাঝের সেই স্বপ্নের জাল আজও চেয়ে আছে বিস্ময়ে।
আলিঙ্গন, আলিঙ্গন, মৃত্যুর আলিঙ্গন গোধুলীর পথে স্বপ্নের,
না না, মৃত্যুর ছায়াপথের নেই কোন রুপ, সে পথ ভ্রান্ত বনের।
সেই তো শপথ, অভিমান মুছে গেছে প্রভাতের আলো ঝরে ঝরে
ভালবাসা, সেই অধরা, ব্যাথা সয়ে সয়ে বেঁধেছে বাসা বেদনার ঘরে।
বহুদিনে রাগ, অভিশাপ নিরুপায় হয়ে নিয়েছে মৃত্যুর পিছু
শুধু ভালবাসাটুকু রয়ে গেছে মনের ঘরে আশা নিয়ে কিছু।
এ কে না বুঝে, দিনে দিনে রাগ, অভিশাপ, অভিমান যায় মরে,
প্রেম, ব্যাথা মরে না; সময়ের চাপে সব যায় মৃত্যুর পথে,
প্রেম, ব্যাথা থাকে স্মৃতির আস্রয়ে; ভয়ে বা অভয়ে, কভু বিস্ময়ে
রক্তিম আলেয়ার পিছু নেয় রাত, হয় না প্রভাত
সেই সব মানুষের, সেই সব হৃদয়ের যারা হেলায় আহত,
যারা মরিচিকার মায়াজালে হয় না ভীত।
সৃজনের আশে, বিধাতার তাসে রচে গেছে শেফালী ফুল
শরতের অভিমানী রাত। সেই সব অভিমান বাসা বাঁধিছে তাতে
প্রেমিকার রুপের বিষে ফুল ঢেলেছে ঘ্রান গভীর রাতে।
নিরুপায় চাওয়া গুলো যারা পরিনতির আশায় গুনেছে দিন তারা যাচ্ছে গুনে।
সহস্র রাত্রির হয়েছে শেষ, সহস্র দিনের হয়ছে শুরু,
প্রেমের যাযাবর বৃত্তির কাছে হার মেনেছে অভিমানী মন,
তবুও বেঁধেছে স্বপন; কাগজের ফুলে ঘ্রান নিয়ে প্রেমিক ভরেছে হৃদয়।
শুধু প্রেমের আলিঙ্গনে থেকেছে বেদনা নিরবধি, দিয়েছে অভয়।
১৩.১১.১৩, ঢাকা।