“যৌবন”
যৌবন তুমি কচি ডাব,
তোমার স্বাদ গ্রহণের আশায় হয় না দা’এর অভাব।
যৌবন তোমার গায়ে মাখা মিষ্টির প্রলেপ,
তোমার পানে পিপীলিকার লোভী পদক্ষেপ।
তোমার মাজারে নানান ভন্ড মুরিদের আনাগোনা,
তোমার দানবাক্সে দু’পয়সা ফেলে তোমার আশীর্বাদ করে প্রার্থনা।
তোমাকে হস্তগত করিবার কি যে ব্যাকুলতা,
তোমার জন্যি তাহার যেন মায়ের চেয়ে মাসীর বেশি মমতা।
যৌবন তুমি বুঝ না অতি আগ্রহ ছলনার কারণ,
বুঝ না তুমি-তুমি কেবল কারো কারো লালসার বাহন।
যৌবন দাঁড়িয়ে তুমি দ্বিধার চৌরাস্তার মোড়ে,
দ্বিধাগ্রস্থ তোমার চেতনা;ভন ভন মাথা ঘোরে।
মনে রেখ তুমি-একটুখানি ভুলের হেতু
কলঙ্কের বোঝা কাঁধে নিয়ে পাড়ি দিতে হবে অগ্নিসেতু।
জানি তো সকলেই-বসন্তের শেষে গ্রীষ্ম আসে;
যৌবন শেষে ফ্যাকাসে বার্ধক্য হাসে।
তোমার যত অনুচর-মুরিদ;আজ সবের অবহেলার দৃষ্টি।
পুরনো ভাংগা মন্দির তুমি;ঘন জঙ্গলে ঢেকে গেছে কোষ্ঠী।
বার্ধক্যের কুঁচকানো চামড়া তোমার;মরে গেছে যশ।
আজ তুমি অপাংক্তেয়-তুচ্ছ;তোমায় স্মরণে সবের চেতনা অলস