ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো???
পূর্ব প্রকাশের পর
আমার ও পরান যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাইগো
তুমি সুখ যদি নাহি দাও
কেন সুখের সন্ধানে যাও
তূমি ছাড়া এ জগতে হায়
মোর কেহ নাই
কিছু নাই গো।
আজ কাজ থেকে একটু তাড়াতাড়ি ই ফিরল মিজান।ঘরে এসে দেখে সাজ সাজ রব চারিদিকে। খাওয়ার গন্ধ ফুলের পারফিউমের মনে হচ্ছে যেন কিছুক্ষন আগে যেন বিশাল পার্টি হয়েছে এখানে।
ক্যসেটে জোরে গান ছেড়ে কেয়াও তার সাথে গান গাচ্ছে।খুব সুন্দর করে কেয়া সেজেছে।চুলে ফুল গুজেছে।সুন্দর মিষ্টি নীল একটা কাতান পড়েছে।
মিজান কতক্ষন ধরে খেয়াল করছে হাসিমুখে।কেয়ার সেইদিকে কোন খবর ই নেই।আপন মনে গান গেয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ সামনে চোখ পড়ায় আতকে উঠে বুকে থুথু দিল তারপর হেসে ফেলল ।
কেয়া দৌড়ে কাছে চলে এল মিজানের।
এত তাড়াতাড়ি ব্যাপার কি?
তার চোখে মুখে হাসির জোয়ার বইছে যেন।
আমার বউটা এত আনন্দিত কেন আজকে? মিজান হেসে জিজ্ঞাসা করল।
সারপ্রাইজ আছে হু কেয়া হেসে বলে।
কেয়া হাত ধরে টেনে বেডরুমে এ নিয়ে আসল।
বিশাল পঞ্চাশ ইঞ্চি প্লাজমা টিভি ডানদিকের দেওয়ালে সেট করা হয়েছে।এর আগের সপ্তাহে তারা সুমনের বাসায় উঠেছে।
বিছানার উপরে দুনিয়ার শপিং বোঝাই করা।ব্লেজার সূট মিজানের জন্য।কিছু দামী সালোয়ার কামিজ গয়না।
ব্যাপার কি এত শপিং কিভাবে করছ?
সুমন এসেছিল ও সব নিয়ে আসছে। কেয়া বলল।
মিজান আজকে সত্যি বিরক্ত হল সুমনের প্রতি কেয়ার প্রতি।এত শপিং এত অপচয়ের কোন মানে হয়।
তোমাদের অনেক টাকা পয়সা।অনেক স্বাচ্ছন্দের সাথে চলছ এতদিন। আমি তো তোমাকে বলতে গেলে কিছু দেইনি।তোমার আমার সাথে অনেক কষ্ট হচ্ছে না কেয়া বিষন্নভাবে মিজান জিজ্ঞাসা করে।
কেয়া একেবারে অফ হয়ে গেল মিজানের কথায়।
মিজানকে যেন কথার নেশায় পেয়ে বসেছে।
তোমার আশেপাশে তো এরকম সুদর্শন টাকা পয়সা ওয়ালা ছিল। আমার মত গরীবরে দয়া করার কোন দরকার ছিল?
কেয়া হতভম্বের মত তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন মিজানের দিকে তাকিয়ে রইল।দৌড়ে বেডরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
এবার হতভম্ব হওয়ার পালা মিজানের।একটু পরে মন শান্ত হলে মন অনুশোচনায় ভরে গেল।
কেন যে কেয়ার মত চমৎকার মেয়েকে সে এত কষ্ট দেয় জানেনা।সে আসলে কেয়ার যোগ্য মা।
আবার কেয়ার মন খারাপ বেশীক্ষন সহ্য করতে পারেনা।
খুব মৃদু স্বরে কেয়াকে ডাকতে ডাকতে দরজায় নক করতে থাকে।
মনে হচ্ছে আজকে রাতে এই দরজা খুলবেনা।
(পরবর্তীতে)