দৃশ্য পট
দৃশ্য পট
_______
রাত বারোটা,
হয়তোবা বেশী ই হবে, ঘড়ি নেই হাতে,
রাস্তায় কেউ নেই , বে ওয়ারীশ কুকুর ব্যতীত ।
হাঁক ছাড়ছে পাহাড়াদ্বার, নির্বিঘ্ন করতে ঘুম ধণিকের ।
বিঘ্ন ঘটিয়ে ফুট পাতে গা এলিয়ে শুয়ে আছে যারা,
কুকুরের গা ছুঁয়ে, মশা ওদের খেতে চায় না,
দেহ পুষ্টিহীন, অভাব রক্তে লোহিত কণিকার ।
মা শুয়ে আছে , বাহুতে দুগ্ধ পুষ্য শিশু,
স্তন বৃন্তে মুখ ঠেসে দিয়ে টানছে অকাতরে ।
কেঁদে উঠছে মাঝে মাঝে,
শুষ্ক স্তন বেরুচ্ছে না দুগ্ধ ।
শাশুড়ী ডাকছে নাকি সুরে,
বেঘোরে ঘুমুচ্ছে বহুতল ভবনের রাজ মিসত্রীর
যোগান দে ওয়া মা ।
শাশুড়ীর ডাক , সন্তানের কান্নায় খেকিয়ে উঠে মা,
শুয়রের বাচ্চা পালিয়েছে সন্তান ও বুড়ি মাকে
আমার ঘারে চাপিয়ে ।
নেশায় বিভোর মাতাল ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুট পাত ধরে ,
বস্তির মেয়ে প্রতিদিন একঘেয়েমি,
তা ই ফুটপাতে নতুনের সন্ধানে ।
নিরাপত্তার অভাব সম্বলহীনেরও,
গরীবের সম্বল দেহ, আত্ব সম্মান ।
দূরে বস্তিতে গানের জলসা, স্বল্প মূল্যে
বিনোদন মুখোশধারী ধণিকের ।
দিনে নীতি বাক্য ছুরে অহরহ চরিত্র বান
রাম স্ত্রীর নিকট নিজ ভবনে ।
নিরাপত্তা রক্ষী বেড়িয়ে যাচ্ছে কমিশন নিয়ে,
রন পাহাড়ার সামনে ই রিক্সায় আটকিয়েছে
এক মহিলার সাথে ছোট ভাই ফিরছে
হাসপাতাল থেকে, মা মৃত্যু সয্যায় ।
অবিশ্বাস্য বক্তব্য, এত রাতে ?
অশোভ ঈঙ্গিত নিরাপত্তা বাহিনীর ।
মাথায় পুটলী, উকি মারছে বার বার ,
রাস্তার মোড়ে দে ওয়ালের পাশ থেকে ,
ছিচকে চোর পেট্রোল গাড়ী দেখে ।
শরতের রাত, পূর্ণিমা,
চাঁদ ঢেকে দিচ্ছে মেঘ মাঝে মাঝে ,
হাসছে মিটমিটিয়ে কীর্তি দেখে মানব সন্তানদের ।
কবে সব দাঁড়াবে ভেঙ্গেচুরে এক কাতারে ?
ভেদা বেদ কাসারী আর কুমুড়ের, পেয়াদা মন্ত্রীতে
নিরীহ মস্তানে, রাজা প্রজায়, সব ভুলে,
সে কি রোজ হাশরে ?