বসন্তের কবিতা/হৃদয়ের সন্ধানে
মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম
ছিলাম নদীর ওপারে।
যুগল রুপে এসেছি গো
আবার নদীর এপারে।
তুমি বললে হংস মিথুন
কি বুঝানো হচ্ছে ?
আসলে?
হু
জোড়া হাসের কোলাকোলি?
মিথুন মানি তো তাই?
নাকি?
তুমি বললে
মিথুন হল আমার রাশি
সেটাই আমি জানি।
তুমি আর কি জান?
হু নিশ্চিত নই ঠিক
মিথুন তো মিলন
দুইটা শরীর এক মন
দুই শরীর মিলে এক শরীর
যাতে আমাদের দুইটি মন।
তুমি হেসে ফেললে
আমার ব্যাখ্যা দেওয়ার
চেষ্টা দেখে।
বললে তোমার কাছে পেলে
সেই সত্যটা
তোমায় উপলব্দি
করাতে জানি।
===============
হৃদয়ের সন্ধান করবনা?
আমার ও পরান ও যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই।
তুমি সুখ যদি নাহি দাও
কেন সুখের সন্ধানে যাও
তূমি ছাড়া এ জগতে হায়
মোর কেহ নাই
কিছু নাই গো।
শুনছি রবীন্দ্র সংগীত টা
এত জোরে এত সাউন্ডে
কেন গান শোনা শুনি।
কার জন্য তোমার বক্ষটা
হয়ে যাচ্ছে বিদীর্ণ ভারী।
বলল ও হাসতে হাসতে
ঘুম থেকে সে উঠে আসতে।
বললাম গানে তো আছে
মনের সব কথা।
তারপরে ও কেন জিজ্ঞাস্য করা।
কেন এ কথা
সুখ যদি নাহি দাও
কেন সুখের সন্ধানে যাই।
সুখের সন্ধান করবনা?
ভালবাসা কি কম দিচ্ছি
নাকি?
শাড়ী গয়না কাপড় চোপড়
আনুষঙ্গিক আরও সব
সব দিচ্ছি তো তোমায় না?
হ্যা হ্যা জী জী সবই পাচ্ছি
সবই দিচ্ছ
তারপর ও?
হ্রৃদয়ে বুদবুদ মত
হরেক রকম শত রকম
ভাব যে খেলা করে।
ক্ষনস্থায়ী পৃথিবী
ক্ষনস্থায়ী আনন্দটুকু
এই যা দিচ্ছ
হ্রৃদয় মন প্রান উজাড় করে।
সস্ভব যদি হত
বাচা অনেকদিন
ঊপভোগ করা পৃথিবীর
সব সৌন্দর্য অনেকদিন।