তবুও আছি বেশ !
এই তো বেশ আছি !
ফুটো ডিঙ্গি তরী প্রবল কল্লোল উত্তাল
বিনা পাল কূলহীন ডুবো ডুবো বেসামাল ;
জল ভরো ভরো নেই সেচ পাত্র
নিরুপায়!আছে ভঙ্গুর বৈঠা মাত্র ।
এই বুঝি ডুবে যাচ্ছি !
গাঙ্গ ভাঙ্গন হেরিছ?শ্রবণ করিছ নৃশ্বংস ধ্বনি ?
অজুত তটিনী এ বক্ষে বহমান অহন রজনী
ঐ পাগলা তিস্তা গাঙ্গটি চিত্তে নিবিড়ভাবে থাকছে ;
আহ্লাদে নৃত্য তালে পাল্লা দিয়ে ভাঙ্গছে তো ভাঙ্গছে ।
কোনই কৃপা নাহি পাচ্ছি !
আজ মরু পৃষ্ঠে তপ্ত বালিতে আমি শ্বায়িত
যাঞ্চায় কাতর এক ফোটা বাদলের তরে ;
খরা চৈত্র আপাদমস্তক শুষ্ক চাতকের ন্যায় তৃষ্ণার্ত
সর্ব ত্যাগিয়ে প্রতিক্ষায় অভ্র পানে বদন হা করে ।
আভাস তো নাহি দেখছি !
দূরারোগ্য দুঃচিন্তা ব্যাধি করেছে মুমূর্ষ
ওঝা কবিরাজ অক্ষম দিতে দাওয়াই ;
হরণ করিছে অভিরাম স্বপ্ন চিত্তের হর্ষ
উর্ধ্ব অধঃ অগ্নি নৈঋত কোনো দিকে নাই ।
দীঘল শ্বাসে মৃত্যুকে হাঁকছি !
তবুও আছি বেশ !
তোমাকে ভুলতে গেলে
বক্ষে সপ্ত নরক জ্বলে ;
পুড়ে পুড়ে হই নিঃশেষ
তাই
ভুলতে নাহি চাই
তোমার স্মৃতির কোন লেশ ।