Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো???

: | : ০৬/১২/২০১৩

পূর্ব প্রকাশের পর

মাসুম আর আয়েশার বিয়ে ঠিক হয়েছে পচিশে বৈশাখ। কালকে তাদের এনগেজমেন্ট।চারিদিকে আনন্দ হই হুল্লোড়ের পরিবেশ বিরাজ করছে।আলিফ আর তার সব কাজিন ভাই বোন বন্ধু সবাই মিলে জোরে ডিভিডি প্লেয়ারে মুভি দেখছে।আয়েশা র কিছু দুরের বান্ধবীরা এসেছে আজকে তার সাথে থাকবে বলে।কেয়ার অবস্থা সবচেয়ে কাহিল।এখন ও অনেক জিনিস কেনা বাকী।সব কেয়াকে একহাতে সামলাতে হচ্ছে।মাত্র ই হয়তবা সে শপিং মল থেকে এসেছে।দেখা গেল সবচেয়ে দরকারী জিনিসটা ফেলে ই চলে এসেছে।আবার দেখা যায় ছুটল মার্কেটে।দৌড়াতে দৌড়াতে নাভীশ্বাস উঠে গেছে তার।

আলিফের বন্ধুরা আর আয়েশার বন্ধুরা সব প্যাকেট করছে।

মিজান এসে দেখে হুলুস্থুল।

এক এনগেজমেন্টে আমি ফতুর।বিয়ের টাকা কোথায় পাব রে এশা তোর মা তো আমারে ফকির বানায়া ফেলতেছে।

কিরে মা অরনামেন্টস না হলে তোর চলবেনা? একটা গোল্ড প্লেটিং সেট দেখে আসছি তিন হাজার টাকা।টাকা ও সেভ হোল।এখন তো গোল্ড কেও পছন্দ করেনা তেমন।মিজান মজা করার ভঙ্গিতে বলতে থাকে।

অসুবিধা নাই বাবা।এই গোল্ড সেটিং টা দাও যদি তোমার চয়েস হয় তার সাথে মা দেখে আসছে দুইটা ডায়মন্ডের সেট একটা মায়ের আর একটা আমার মায়ের দিকে চোখ টিপে ইশারা করে বলে।

কেয়া হেসে ফেলে বলে মিজানের দিকে তাকিয়ে

খুব হয়েছে এবার।যেমন বাবা তেমন মেয়ে।

হাসি ঠাট্রা গল্পে রাত পার হয়ে গেল।কেয়া এসে তাগাদা দিল আয়েশাকে একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার জন্য।

আয়েশার কি এখন আর ঘুম আসবে? বিথী নামে আয়েশার এক ফ্রেন্ড মজা করতে থাকে।

এনগেজমেন্ট এর সময় কাছাকাছি হচ্ছে আর আয়েশার বুক ধুকধুক করছে।এখন ও সে হানড্রেড পারসেন্ট মনে ঢুকাতে পারেনি মনে হয় মাসুমকে।না হলে এখন ও মনে কোন উত্তেজনা বা আনন্দ আসছেনা কেন তার কে জানে।

যথাসময়ে ছেলে পক্ষ এসে উপস্থিত হল।আংটি পড়ানোর সময় হোল।আয়েশাকে নিয়ে তার বান্ধবী ড্রঈং রুমে শামিয়ানার কাছে নিয়ে আসল।তার হাতে ছেলেপক্ষের দেওয়া ফুলের তোড়া।

চেয়ারে বসতে গিয়ে ওদিকের মুখোমুখি বসা একজনের সাথে চোখাচোখি হতে চমকে তার হাত থেকে ফুলের তোড়া পড়ে গেল।

আলবার্তো এখানে আজকে?

হায় আলবার্তো এই পাচমাস দিনরাত ঘন্টা প্রতিমূহূর্ত সবসময় তোমার কথা ভেবেছি।আজ যখন তোমাকে ভূলে মনটা প্রস্তুত করছিলাম বিয়ের জন্য এসময় কেন এভাবে দেখা দিলে।মনে মনে হাহাকারের মত সে ভাবতে থাকে।

যদি একদিনের জন্য আমাকে আলবার্তো ভালবাসত প্রভূ তাহলে আর কিছুই চাইতমনা এই জীবনে। ভিতরে ভিতরে ভাবাবেগে অস্থির হয়ে যায় আলবার্তোকে দেখার পর।

যথাসময়ে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হল।আংটি পরানো হল। একপর্যায়ে আলবার্তো সামনে এসে বলল

কনগ্রাচুলেশান এশা ইউ লুক সো প্রিটি ইন দিস শাড়ী।

আয়েশা আবার ও মুগ্ধ হয়ে গেল আলবার্তোর রমনীমোহন সৌম্যকান্তি অবয়বে। আয়েশা সম্ভবত এ আকর্ষন থেকে কখনও মুক্তি পাবেনা।হয়তবা একদিন সে মাসুমকে অনেক বেশী ভালবাসবে ।কিন্তু তার মনের গোপন একটা কোনে সবসময় আলবার্তোর জন্য এক রহস্যময় আকর্ষন থেকে ই যাবে।

আলবার্তো হাতের ইশারায় কাকে যেন ডাকল।মুখ তুলে তাকাতে দেখল অপূর্ব সুন্দরী এক মহিলা তাদের দিকে এগিয়ে আসল।এত সুন্দরী মেয়ে সচরাচর দেখা যায়না।

এশা পরিচয় করিয়ে দেই এ মালিনী আমার ওয়াইফ। আলবার্তো বলল।

মহিলাটি খুব মিষ্টি করে হেসে বলল

তোমার কথা অনেক শুনেছি এশা।

আয়েশা ভদ্রমহিলার অপরূপ সৌন্দর্য্য ও ব্যাক্তিত্বের পাশে ম্রিয়মান হয়ে পড়ল।

সে পাল্টা কোন জবাব করতে পারলনা।

ভদ্রমহিলা এসে তাকে ডায়মন্ডের লকেট দেওয়া একটি চেইন পরিয়ে দিল।জিজ্ঞাসা করলএশা পছন্দ করেছ?

আয়েশা শুধু মাথা নাড়ল ।অপ্রস্তুতের মত তাকিয়ে রইল জবাব না দিয়ে।

( পরবর্তীতে)

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top