একদিন আমি যাব
একদিন আমি যাব
হয়তো রাঁমধনু মাখা একটি কুসুম বেশে
লভিবে অনাবিল সুখ স্পর্শ সুবাসে ;
সুদূরে নহে তোমার বারান্দার পুষ্প টবে
কোন প্রাতে অনায়াসে মোরে হেরিতে পাবে ।
কুসুম পাপড়িতে মিশে রবো
একদিন আমি যাব ।
ভেসে যাব পবন ভেলার পালকিতে চড়ে
আচমকা অগ্রে খাড়াব নিশ্চল শান্ত বিমূর্ত চিত্রে ;
আঁখি দ্বার রুদ্ধ করিওনা ঘৃণা কিংবা বিনাশ ডরে
কভু নাও হতে পারে পদাপর্ণ আর তোমার দুয়ারে ।
হয়তো অবকাশ নাহি পাব
একদিন আমি যাব ।
জ্যোত্স্নার দীপ্তি বেশে অনিদ্রা বিষন্ন ক্ষণে
খিরকির অণু ছিদ্রে ঢুকিব সঙ্গোপনে ;
হইব তোমার প্রাণের দোসর
থাকিব মুখোমূখী শ্বায়িত পরস্পর ।
তোমাকে ঘুম পারাব
একদিন আমি যাব ।
গ্রীষ্মের আচমকা বাদল রুপে পড়িব টাপুর টুপুর
পুলকে ভিজিতে ভিজিতে যেও সুখের অন্তপুর ;
করিও ঠাহর তোমাতে মিশেছি বারি ফোটায়
আদ্র শাড়ীতে লেপ্টে আছি তোমার গায় ।
শান্তির পরশ মাখাব
একদিন আমি যাব ।
তোমার পুকুর ঘাটের পিছল শ্যাওলা ভানে
নাইতে বেলায় পিছলে পরিলে বক্ষে নেব টেনে ;
চিত্ত ক্ষোভে ব্রাশ চালাইওনা মোর গায়
তোমায় হেরিতে কাতর হৃদয় এসেছে তায় ।
শুধু অল্প ক্ষণ রবো
একদিন আমি যাব ।
হয়তো দুঃস্বপ্ন বেশে অমাবস্যা ঘোর নিশিতে
ডর কম্পনে আঁতকে উঠে ধরপরাবে চিত্তে ;
ঘাবরাবে না খবরদার ! এ ত্রাস মূর্তি তোমার হস্তে গড়া
সেই প্রেম হরেক নিঠুর বেশে ছুটছে দিশেহারা ।
ফের একটু ঠাঁই পাব ?
যেদিন আমি যাব ।