হুমায়রা হিমি
হুমায়রা হিমি যেদিন তুমি চলে গেলে
দুর্বার বেগে আপনার দু পদে দলে ;
অর্ধ যুগের তিলে তিলে গড়া নিবিড় প্রীতির বন্ধন
করিতে ছিন্ন তোমার চিত্তে হয়নি কি সামান্য কম্পন ?
তছনছ করিছ সবি সর্বনাশী ঝড় বেশে
অতীত সুদূরে ঠেলে এ হৃদয়ে অহ্নি জ্বেলেছ হেসে হেসে ;
মোর নিবাসের অগ্র পন্থে করিছ গমন
আপনার নেত্রে করেছি প্রত্যক্ষ দর্শন ।
তোমাতে আমাতে ছিলনা যেন কোন যুগে পরিচয়
কি চমত্কার ! করিছ তুমি অচেনার অভিনয় ;
মোর ব্যক্তের ভাষা ছিল আষাঢ়ের আঁখি জল
শান্ত নির্বাক মূর্তির মতো ছিলাম অচৈতন্য অবিচল ।
আচ্ছা বলো তো , সেদিন কি গগনে রবি ছিল ?
জানিনা দু নয়নে ছিল শুধু বিদিশার আলো ;
সেদিন কি পক্ষীকুল নীড় থেকে বেড়িয়েছে ?
পুলকিত হৃদয়ে দল বেঁধে অভ্রে উড়েছে ?
হাওয়াতে সেদিন বুঝি অক্সিজেন ছিলনা নিশ্চয়
থাকলে তবে কেন বিনাক্সিজেনে ধরপর করিছে হৃদয় ?
সেদিন প্রকৃতির সব কিছু পবন ঘুর্ণিপাকে ঘুরছিল
যার ফলে ধরা ছিল অগোছানো হ য ব র ল ।
সবাই কয় ঠিক ছিল সবি শুধু আমি ছাড়া
আমি নাকি মরেই ছিলাম বলিছে হেরিছে যারা ;
কোথায় ছিলাম কিভাবে গেলাম ? কিছুই নেই স্মরণ
মনে পড়ে শুধু এতটুকু বিবরণ-
ঘোর কৃষ্ণ গভীর আঁধার কুপে আমি ছিলাম
উদ্ধার চেষ্টা সর্বস্ব করেছি অবিরাম ;
কিন্তু অকৃতকার্য সংগ্রামের ফল
শুধু বক্ষে জ্বলছিল ব্যর্থতার অনল ।
সেদিন আপনাকে যমের ধারে করেছি সমর্পণ
আজিকে আমি জ্যান্ত লাশ একজন ।