যাত্রার আযোজন
যাত্রার আয়োজন
_______________
দুপুর গড়িয়েছে কখন,
আজও গুছোনো হয়নি যাত্রার আয়োজন ।
ভোর হয়েছিল সে ই কবে,
প্রথম দেখেছিনু যেদিন আলো পৃথিবীর,
যাত্রা শুরু সে থেকে ই ।
বড় ই সহিষ্ণু গাড়োয়ান, তাড়া দিচ্ছেনা মোটেই ।
যাত্রা যেন ছকে বাঁধা,
যেখানে যতটুকু দাঁড়ানোর কথা, ঠিক ততটুকুই ।
নৌ পথে যাত্রা , ঘাট থেকে ঘাটে,
নদীর বাঁকে বাঁকে স্থির, বানিজ্য মেলায় ।
মুনাফাটুকু তুলছে নৌকায়, আর ক্ষতি ?
সেত গননাই করছেনা যাত্রী,
হিসেব রাখছে গাড়োয়ান, মিলাবে একবার
হালখাতার দিনে, যাত্রা শেষে পৌঁছে গন্তব্যে ।
সেই যে প্রথম আলোর কিরণ,
গায়ে মেখে শুরু যাত্রার, পেরিয়েছে শৈশব,
কৈশোর, যৌবনও ।
এ যাত্রার শেষ হবে ভাবেনি কভু,
তবু তো শেষ হয় ।
চলতে চলতে ক্লান্ত, শ্রান্ত পথিক ,
একদিন রনে ভঙ্গ দিয়ে নিজেকে বিলিয়ে
দিতে চায় অনন্তের সন্ধানে ।
তাইতো পড়ন্ত যৌবনে দিবা শেষে এত তাড়া,
মালা মাল গোছানোর । ভাবে–
যদি আর কটা দিন–।
মায়ার বাধন ছিড়তে চায়না পথিক
নির্মম হয়ে উঠে গাড়োয়ান, ছেড়ে দেয় গাড়ি
অনন্তের পথে পথিককে নিয়ে । ।