Today 12 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

আমার ভালবাসার পানীয় /অমৃত পানীয় চা

: | : ১৪/১২/২০১৩

আহ শীতের সকালের এক কাপ চা

================

রাত জাগরনের ক্লান্তি মুছে যায়। আমার কাছের মানুষরা মজা করে আমার সাথে।বলে আমাকে দেখলে নাকি তখন মনে হয় আমি কি একটা অমৃত নেয়ামত খাচ্ছি। চা খাওয়ার সময় অটোমেটিক্যালী আমার চোখ বন্ধ হয়ে যায় আমি তখন কোন একটা সুখকর মূহৃর্ত বা কিছু একটা লিখা নিয়ে ভাবছি। যারা লিখে বা লিখতে চায় বা কবি সাহিত্যিকদের সাথে চা এর একটা গাঢ় সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।চা ক্রিয়েটিভ থিন্ক করতে সাহায্য করে যুক্তিকে সংঘঠিত করতে সাহায্য করে নার্ভকে অ্যালার্ট রাখে।

আর নেয়ামত বা অমৃত এর কথা যদি বলি এরকম অসংখ্য নেয়ামত অমৃত আসলে চারিপাশে ছড়ানো ছিটানো থাকে আনন্দের উপকরন হিসাবে। কিছু না কিছু আনন্দের উপকরন সবসময় আমাদের চারিপাশে সাজিয়ে রেখেছেন আমাদের পালনকারী আমাদের অবসরের রিক্রিয়েশন হিসেবে। হতাশা গ্রস্থ মনের কারনে সবসময় খেয়াল করিনা ।সবসময় আল্লাহ র সাথে অভিযোগ আমাদর ।এটা নাই সেটা নাই।অথচ পজিটিভ মন নিয়ে খুজে দেখলে চারিপশে আমাদের অসংখ্য আনন্দের উপকরন অসংখ্য নেয়ামত এর মুখোমুখী সবসময় হচ্ছি।

আমার সব ভাই বোন বন্ধু বান্ধবী ঠান্ডার এই সকালে সবার জন্য এটা যে যার মত করে তাদের জীবনে ছোট ছোট ব্লেসিংকে চিনে নিতে পারে এবং পভুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে।

=======================================================================================

কবি সাহত্যিক লেখকদের কপাল কি পোড়া?

কালকে থেকে অনেক চেষ্টা স্বত্বেও এক কাপ ভাল চা খেতে পারলাম না। কালকে সাতবার চায়ের পাতিলটা পোড়ালাম।বার বার ক্লিন করে বসিয়ে আবার ফুড়িয়ে ফেলি।কফি মেকার এর পট ষ্ট্যান্ডে বসানোর বদলে বসিয়ে দিয়েছি ওভেনে একদিন।সারাঘরে ভাঙ্গা কাচের টুকরা যেমন ভরে গেল তার এক টুকরা বিধে গেল হাতে। ভাগ্যিস আল্লাহ আমার ত্রানকর্তা বাচিয়েছেন সেই দিন আমায়।আল্লাহ বুঝেছেন আমি ছাড়া এই অবুঝ জাতির কোন ভরসা নাই।(লোল)

বাংলার আকাশে আজ দূর্যোগের ঘনঘটা
কে দিবে আশা কে দিবে ভরসা।
(সিরাজদ্দৌলা সিনেমার ডায়লগ)

সিরাজদ্দৌলা বেচে নাই।বেচে আছি আমি এক পোড়া কপালী পোড়া চা খাওয়া সাহিত্যিক।অবশ্য পোড়া চাকে এখন স্বাভাবিক স্বাদের মনে হল।মানুষ হিসাবে আমাদের অ্যাডাপ্টিবিলিটি অসাধারন।আমরা যখন যেই অবস্হায় থাকি বা থাকতে বাধ্য হই তখন এটাকে আমার জীবন অস্তিত্ব মনে হয়। বস্তির সেই ছেলেটা তিনদিন কিছু খায়নি সে ডাস্টবিন থেকে পাউরুটির টুকরা তুলে খাবে তুমি আমি যতই নাক সিটকাই না কেন?

আমি মেনে নিয়েছি ভাগ্য আমার পোড়া চা তরকারী। অচিরে আমাদের জনসাধারন ও মেনে নিবে অসুস্হ বার্ন ইউনিট থেকে বের হয়ে আসা এই দেশ নেতা জাতি।কষ্ট দূর্ভাগ্য পেইনে আমরা অভ্যস্হ ।বরং ভাল কিছু হজম করতে কস্ট হয়। কানাডার ভেজালহীন খাওয়ায় আমার স্টমাক ফ্লু হয়ে যায় কিন্ত আমার দেশের ভেজাল তেলের ভাজাপোড়াতে কখন ও কিছু হোতনা।

যাই হোক  আমার নিজের কপালে পোড়া চার ভাগ্য  হলেও আমি আমার সহ সাহিত্যিকদের জন্য স্বাভাবিক স্বাদের চা এবং স্বাভাবিক উজ্জল সুন্দর সাহিত্যিক জীবন কামনা করছি।

সবাইকে অনেক ভালবাসা ।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top