হে বিজয় দিবস তোমায় বলি
লক্ষ শহীদের জীবনের বিনিময়ে তুমি এসেছো,
আজো আমরা ভুলিতে তাদের পারিনি।
আমাদের দেশ পরাধীন থেকে স্বাধীন হয়েছে যদিও,
এতগুলো বছর পরেও আমাদের জীবনের স্বাধীনতা পাইনি।
প্রতিবছর তোমার আগমনে আনন্দ করতে চেয়েও পারিনা,
আজো আমাদের চোখের পানি মুছতে পারিনি বলে।
তুমি শুধু আমাদের মাঝে আসো এই একটি দিনই,
সারাটি বছর পেড়িয়ে এই ১৬ই ডিসেম্বর আসলে।
আজো আমরা রাজাকার রূপী মানুষের কবলে পড়ছি,
যেমনটি ঘটেছিল তুমি আসার আগে।
আমরা নারীরা আজো হচ্ছি নির্যাতিত আর অবহেলিত,
তাইতো আজো প্রতিবাদের নেশা আমাদের ভীষণ জাগে।
যখনই শিকার হই অপবাদ, প্রতারণা আর হয়রানির,
তখন আমরা নিজেরাই হই লজ্জিত, অপমানিত ও কলংকিত।
দিনে দিনে যেনো বেড়েই চলেছে নির্মমতা, অসভ্যতা আর বর্বরতা,
তাইতো তোমার আগমনের এই দিনটিতে হতে চাই জাগ্রত।
তবুও প্রশ্ন, আজো কি আমরা পেয়েছি জীবনের স্বাধীনতা?
তবুও আজো কেনো আমরা সংগ্রাম করছি স্বাধীনতার জন্য?
আমরা কি পারিনা অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচার বন্দ করে,
পারিনা কি অসহায় সাধারণ মানুষকে মানুষ বলে করতে গণ্য?
হে বিজয় দিবস, লক্ষ শহীদের জীবন দানের পরেও,
কেন প্রতিদিন আজো দিতে হচ্ছে হাজারো জীবন?
গুটিকয়েক বর্বর আর অমানুষের অপকর্মের জন্য,
কেন অকারণে দিতে হয় কত সাধারণ মানুষের প্রাণ?
এতকিছুর পরেও আমরা প্রতিবছর এই দিনটিতে,
হে বিজয় দিবস, তোমায় আমরা করি মনে-প্রাণে স্বরণ।
তাইতো আমরা হতে চাই স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক,
জীবন দিয়ে হলেও চাই জীবনের স্বাধীনতা এই আমাদের পণ।