তোমাদের এই ঋণ কোনদিন শোধ হবেনা
এক নদী রক্ত পেরিয়ে
বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য
আনলে যারা তোমাদের
এই ঋণ কোনদিন শোধ হবেনা
না না শোধ হবেনা।
মৃত্যূর মুখোমূখি দাড়িয়ে
সাত কোটি জনতার হৃদয়ের সন্ধান করলে যারা
তোমাদের এই ঋণ কোনদিন শোধ হবেনা
না না না শোধ হবেনা।
(আবার তোরা মানুষ হ ছবির গান)
স্বাধীনতার গান গুলি এত অন্যরকমে সুরে বক্তব্যে সবসময় এক অন্যরকম আমেজ তৈরী করে মনে।এটা নিশ্চয় একা আমারই হয়না।আামার ধারনা আমরা ষোল কোটি বঙালী সবাই একই চেতনায় ঐতিহ্যে আমাদের স্বাধীনতার মহার্ঘ স্মৃতি মনে লালন করি সবসময় ই ।জাতি হিসাবে আমরা গর্ব করতে পারি মাত্র নয়মাসের যুদ্ধে আমরা স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি।যদিও অনেক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা। বলা হয়
স্বাধীনতা অর্জন যতখানি কঠিন রক্ষা করা নাকি তার চেয়ে বেশী কঠিন।
আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাই সত্যি বলে মনে হচ্ছে।স্বাধীনতার জন্য আমাদের বীর মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করেছে মাত্র নয়মাস।আর স্বাধীনতাকে দীর্ঘ বেয়াল্লিশ বছর চেষ্টা করেও নিরাপদ সুরক্ষিত করতে পারছিনা।জাতি হিসাবে এটা আমাদের দূর্ভাগ্য।সৌভাগ্য নয়মাসে স্বাধীনতা পাওয়া আর দূর্ভাগ্য দীর্ঘ বেয়াল্লিশ বছরে স্বাধীনতা বা দেশপ্রেমের অটুট বন্ধন করতে পারিনি দেশের মাটির সাথে দেশের সাথে।৭১ এ কার্ফিউ মানুষ ঘরে বসে থাকতে বাধ্য হয়েছিল (মায়ের মুখ থেকে শোনা গল্প) আজকে দেশে হরতালের পর হরতালে গৃহবন্দী মানুষ।এই হচ্ছে দেশের বর্তমান হতাশ চিত্র।
তবু ১৬ ই ডিসেম্বর আসে বা আসবে স্বাধীনতার চেতনা ঐতিহ্য নিয়ে প্রতিবারে ই।আমরা নুতুন বিজয় দিবস প্রতিবার ই উদযাপন করি স্বাধীনতার ঐতিহ্য ও সংগীতে।গেয়ে উঠি
ও আমার আট কোটি ফুল দেখ গো মালী
শক্ত হাতে বাইন্ধো মলী লোহার জালী।
ওরে এমন ফুলের বাগান হয় কোথায়
ত্রিশ লক্ষ প্রান ঘুমাইছে গাছের তলে।
স্বাধীনতার এই দিনে চলন্তিকার সব ভাইবোন পাঠক সমালোচক সবাইকে আমার বিজয় দিবসের প্রানঢালা শুভেচ্ছা অভিনন্দন।
সবাইকে জানাই হৃদয় থেকে ভালবাসা।