তৃপ্তিময় স্বপ্ন
মধ্য নিশিতে অনিচ্ছায় নেত্র মেলে যায়
বক্ষ পিঞ্জর ধরপর করে সর্বদায়
চমকে উঠি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ।
নিদ্রায় বারণ করে একাকিত্ব ঘণ্টা ধ্বনি
কর্ণে কুহরে বাজে তোমার দু’পদের রিনিঝিনি
দর্শন তোমার সনে মোর নীরে ।
রুদ্ধ দ্বার অবারিত করি তোমায় খোঁজার লাগি
হেথায়-সেথায় নিঃশব্দে হেরি পুরো যামিনী জাগি ।
কোন গহীন কুঞ্জে লুকিয়ে থাক ?
সুখ কেল্লা ত্যাগিয়ে কেন জীর্ণ কুটিরে আগমন ?
প্রীতির বাঁধন দাবি লয়ে এলে রইবেনা বারণ ,
আর অন্য কিছুই লাগবে নাকো ।
এমন স্বপ্ন জীবন ভর হেরিতে স্বাধ হয়
যে খাব মোর সুখ নিদ্রা হরণ করিয়ে লয় ;
যাতনা দাও , সপ্ত নরক রচ এ বক্ষে
হেসে বরিব তোমায় অশ্রু সিক্ত চোক্ষে ।
তোমার সবি লাগে মোর সুখ ।
ধ্যাত্ ছাই!কাকে বলছি,কেহ যে নেই হেথায়
ভুলেই গেছি তারে হেরিছি ঘোর নিদ্রায় ।
এখনও ছাতি করছে ধুক্ ধুক্ ।
জাগ্রত নিদ্রা বিভেদ করিতে আমি আজ ব্যর্থ
সর্বপানে সর্বক্ষণে ভাসছে তার মূর্ত ।
কত যে কাব্য রচিয়ে গেলাম শুধু তার জন্য ।
যত নিদ্রায় স্বপ্ন দেখেছি জনম ভরে
শত দুঃখ কষ্টের বোঝা এনে দিয়েছে মোরে ।
কিছুক্ষণ শান্তি দিল এ তৃপ্তিময় স্বপ্ন ।