পুর্নজাগরন
ওরে ঘুমাস কেন ?
চোখ খোল, দেখ খোলা আকাশ
অন্ধকার গেছে আপন ঘরে এখন ভোরের বাতাস ।
তবে ভয় কি ? দোর খোল
বাইরে আয়
জানান দে তোর অস্তিত্ব
ক্ষরন কর যা আছে ভরাট মস্তিষ্ক
কর যুদ্ধ ঘোষনা
হাতে তুলে অলিগলি সমস্ত যাতনা ।
দে তীব্র হুংকার
ভেঙ্গে পাপ-পূন্য অহংকার
শোষনের ধ্রুমজাল, কাটাতারের এপার ওপার
ন্যায় অন্যায়ের সূক্ষ আইনি পরিমাপ
জিজ্ঞেস কর শোষন করবি আর কতকাল
এবার চক্ষু মোর কোটরে
গলায় বাঁধ ভাঙ্গা ঢেউ
পূর্নিমায় ঢেলে অন্ধকার আসবি কি কেউ ?
তোর মুন্ডু নেব কেড়ে
সমস্ত অতীত ঝেড়ে
কড়ায় কড়ায় হবে হিসাব
সুদে আসলে হবে আদায় আমার পূর্বপুরুষের অভিশাপ
তোর ফিনকি কেটে ঝরাবো রক্ত
পূর্বপুরুষের রক্তমাংস অস্হিমজ্জায় ভিটে মোর শক্ত ।
ওরে ভয় নেই একবার ফেরা মুখ সূর্যের আলোতে
কর সদম্ভ উচ্চারন
আমি হারায়াছি অনেক
হারিয়েছি অনেক
পেয়েছি যা দেব তার সমমূল্য দাম
দেখবি ভীরের মাঝে ভীর ঠেলে ছুটছে আদম
কদমে কদমে হবে তার মিলিত পদধ্বনি
প্রকম্পিত লুন্ঠিত সিন্ধুকে সঞ্চিত জমাট খনি
উমুক্ত পসরায় হবে ঐ ঔদ্ব্যতার বিকিকিনি ।
……………………….নিঃশব্দ নাগরিক