যূথিকা
আমাকে ভালবেসেছিল নিদ্রাহীন কবিতা,
আমাকে ভালবেসেছিল নিরাশার স্বপ্নগুলো,
আমি তোমার মুখের কালো তিলের স্বপ্ন ছিলাম,
তোমার চোখের পাপড়িরা রাতভর আমার পাপড়ির সাথে খেলা করে।
আমাকে ভালবেসেছিল রাত্রির কল্পলতা,
আমাকে ভালবেসেছিল অজানার রুপের ব্যাথা,
আমার স্বপ্নগুলো চলে যায় তোমার ঘুমের অন্তরে,
তোমার ঠোঁটের স্পর্শের সুর আমার চোখের পাতায় ডেকে আনে ঘুম।
আমাকে ভালবেসেছিল জোনাকীর সন্ধ্যা,
আমাকে ভালবেসেছিল চাঁদনীর রঙের সন্ধ্যা,
তোমার সিঁথির সিঁদুরে হবে আমার স্বপ্নের রঙ,
তোমার ভালবাসা শীতের কুয়াশা হয়ে আকস্মাৎ আসবে আমার ভোরে।
আমাকে ভালবেসেছিল সীমান্তের কাঁটাতার,
আমাকে ভালবেসেছিল রোদ্র-তাপে ধ্বংসিত শিশির,
তোমার হাসির অলৌকিকতায় আঁকে আকাশের বুকে চুম্বন,
আমি চোখের পাতা পেতে বসে থাকি আকাশের কোটি নক্ষত্রের দিকে চেয়ে।
আমাকে ভালবেসেছিল লক্ষীপেঁচার আদুরে মুখ
আমাকে ভালবেসেছিল ঘুধুর উদাস করা মেঘে চেয়ে থাকা।
আমি তোমার চোখের স্পর্শ পেতে উন্মুখ বসে জ্যোৎস্না কোলে,
সাদা শাপলার বিলে তোমার হাতের স্পর্শের আকুলতা প্রভাত করে আঁধার রাত।
আমাকে ভালবেসেছিল নদীর বুকে ঢেউয়ের পরাজয়,
আমাকে ভালবেসেছিল ঝর্ণার কাছে পাহাড়ের অভিনয়,
তোমার এলো চুল ডাকে বর্ষার কালো মেঘ বৃষ্টির প্রত্যাশায়,
বৃষ্টির মুখরতা তোমার ঠোঁটের স্পর্শে আমার প্রতিটি মুহুর্তকে ভাসায় ভালবাসায়।
আমাকে ভালবেসেছিল প্রেমের যন্ত্রণার অসীমতা
আমাকে ভালবেসেছিল অভিমান নিয়ে করা আত্মহত্যা,
তোমার বুকের কম্পন নিঃস্ব করে আমার চেনা-অচেনা দিগন্ত,
যূথিকা, ধূপের ধোঁয়া হয়ে থেকো তুমি আমার লাশের পাশে আমি মরিলে।
২৩১২১৩, ঢাকা।