আর্কাইব
আর্কাইব
জীবনটা রেকর্ডহীন গানের জলসা নয়,
চোখ মুদলেই ঘুরে বেড়ায় অসংখ্য গ্রহ নক্ষত্র,
তারকা, নীহারিকা, জমিয়ে রাখা আছে বাক্সে,
কম্পিউটারে সেভ করা, কারা বদ্ধ আসামীর মতো।
ময়লা ঘেটে কাগজ কুড়ানো অথবা মূদ্রা,
অস্পষ্ট, তবু মনে পরে স্মৃতির পাতা ঘেটে ।
স্বপ্নে দেখা চাল চিত্র, জীবন কাহিনী
ফেলে আসা ঘূর্ণাবর্তের মতো কুয়াশাচ্ছন্ন,
নদীর বুকে জ্বলে উঠা সার্চ লাইট,
পর্দায় ভেসে উঠা নারী মূর্তি ।
আজও ভেসে উঠে পুরনো ছায়া ছবির মতো,
নীলাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো,
এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা,
বিদ্যুতের পিলার যেন, কটু দৃষ্টির আড়াল হয়ে
আনাচে কানাচে দাঁড়িয়ে থাকা, একটা চুমুর জন্য,
কিশোর প্রেম,বারান্দার কোণে চোখা চুখি খেলা,
আজও অপেক্ষায়, অমনি একটা বিকেল ফিরে আসুক বারবার ।
গভীর সমুদ্রের মতো নীল চোখ নীলার,
নীল আকাশের মতো গাঢ় নীল অন্ধকার ।
কলেজের রাস্তায় ক্ষণিক দেখা, ছন্ধহীন কথা ,এলো মেলো ।
কি বুঝাতে চেয়েছিল নীলা সেদিন,
পঁচিশ বর্ষ আগে হারিয়ে গেছে নীল সবুজে ।
মনে পরে আজও নীলার হৃদয় জুড়ানো হাসি,
হৃদয় চিরে রক্তক্ষরণ, আষাঢ়ে বৃষ্টি, হাওয়া বিহীন ।
মাকড়সার জালে ঢাকা স্মৃতি,ঘর্ষনে ঝলশে উঠে
বজ্রপাতে বিচ্ছুড়িত বিদ্যুতের মতো ।
বিবাহীতা রমণীর মত সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে চকিতে,
বহু কষ্টে কেনা এক চিলতে হাসি দিয়ে
বিলীন হয়ে যাওয়া মহা বিশ্বে ।
এক চিলতে হাসির বিদ্যুৎ শত শত বর্ষ,
আলোক বর্ষ ধরে আমার হৃদয়কে আলোকিত করে ।
ষ্টোবের শব্দের মত কি যেন শব্দ করে অহর্নিশ হৃদয় গভীরে,
ভাঙ্গা ঘর, ভাঙ্গা জানালা, অস্তিত্ব হীন প্রায় ।
এখন আর কুমারী মেয়ের আত্মঘাতি হাসি দেখে
বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়না এ দেহে, জীবন ব্যাটারি চার্জহীন,
চলে ঠেলে ঠেলে, অন্য গাড়ির পেছনে বেঁধে ।
তাইতো, আর্কাইব থেকে খুঁজে বেড়াই পুরনো পান্ডুলিপি । ।