অসহায়দের পাশে দাঁড়াই……….
হিম হিম ঠান্ডা
বইছে বাতাস ঝিরঝির
হাড় কাপানো শীতে
কাপছি কেমন থির থির ।
ঠক ঠক শীত করে উপেক্ষা
রোজীর টানে
ছুটছি আমি, ছুটছ তুমি
অফিস পানে ।
গায়ে জড়িয়েছি চাদর, স্যুট কুট
পায়ে মোজা
গলায় পেচিয়েছি মাফলার আহ!
কিযে মজা।
শীত পাচ্ছে না নাগাল
তোমায় আমায়
করছে না কাবু, কি সাধ্য শীতের
আমাকে কাঁপায় ।
অফিস পাড়ায় গরম চায়ের কাপে
আরামের চুমুক
রাস্তার দোকানে আড্ডায় মেতেছে কতক
আনন্দিত মুখ ।
ছুটির দিনগুলোতে
শীতের সকালে
ভাপা, পুলি আর চিতই পিঠা খাই
ভর্তার ঝালে ।
বাজারের সব টাটকা
শাক সব্জী
ছোট মাছের সাথে রেঁধে খাই
ডুবিয়ে কব্জি ।
লেপ তোষকে অথবা
কম্বলে জড়িয়ে
তুলতুলে বিছানায় ঘুমের রাজ্যে
যাই হারিয়ে ।
কিন্তু………………..
যখন বাস থেকে নেমে এসে দেখি
অফিসের ফটকে
বসে মা, তার বস্ত্রহীন দু’বাচ্চা; দেখে যায়
চোখ আটকে ।
সর্দি পড়ছে নাক দিয়ে
অবিরত
চুলে পড়েনি আঁচড়, নাকের নিচে
হয়েছে ক্ষত ।
দেখেও না দেখার
করি ভান
হাজার হাজার চোখের মাঝে একটুও
দেখিনি টান ।
কেউ বলেনি মা গো
বসেছ কেন ঠান্ডায় ?
বাচা দুটোর লাগবে ঠান্ডা, গুনতে হবে
কড়ি গন্ডায় গন্ডায় ।
কেউ তো বলেনি নাও গো মা তুমি
এই টাকাগুলো
শীতের কাপড় কিনে জড়িয়ে বাচ্চাদের
গরম করে তুলো ।
না, আমিও বলিনি
দেখে গেছি শুধু
জড়তায় আমাকেও
যেন করেছে যাদু ।
জড়তা আর লজ্জায় দেখেও
না দেখার করেছি ভান
নিজের স্বার্থই দেখেছি শুধু
সুখ সমৃদ্ধিতে ভরিয়েছি প্রাণ ।
অমন কত শত মানুষ আজ করছে
রাস্তায় জীবন যাপন
শৈত্য প্রবাহে খোলা আকাশের নীচে
শীতকে করেছে আপন ।
ভাঙ্গতে চাই জড়তা
করতে চাই মানুষের জন্য
অন্তত: একটি বস্ত্র দান করে
জীবন করতে চাই ধন্য ।
আহবান জানাই আমি
সবার তরে
অসহায়দের দান করি অন্তত:
একটি বস্ত্র করে ।