লক্ষ্মীপেঁচা
লক্ষ্মীপেঁচা, লক্ষ্মীপেঁচা
যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়া বাঁকা পঞ্চমীর চাঁদে তাকিয়ে থাকো,
কি ভাবো প্রিয়া, সে রুপালী আলোয়।
তোমার ধূসর মায়াবী মুখে আলোর খেলা
কেন করো অবহেলা?
কি ভেবে পার করে দাও বেলা?
ডুবে যায় চাঁদ
অন্ধ বাদুরের মত পাখা ঝাপটিয়ে ফেরো ঘরে।
তারপর আবার কবে ফের উঠবে পঞ্চমীর চাঁদ
দিন গণা হয় শুরু।
লক্ষ্মীপেঁচা তোমার হৃদয়ে তখন কি শুধুই মরু?
লক্ষ্মীপেঁচা লক্ষ্মীপেঁচা,
কি ভাবো বসে আনমনে
কি ভেবে পার করে দাও বেলা?
কি করে করো দিনেরে অবহেলা?
অন্ধকারে চিৎকার, ডানা ঝাপটানো
একাকিত্ত্বের পঞ্চমীর চাঁদের ছোঁয়া কি মুছে গেছে দিনে দিনে?
আবার কবে হবে দেখা এই ভাবনাই কি পঞ্চমীর দিনে?
লক্ষ্মীপেঁচা চলে এসো বুকের মধ্যখানে যেখানে বাঁধা থাকে স্বপ্ন,
তোমার স্বপ্নের রঙ ছুঁইয়ে দাও সেখানে,
তোমার ভাবনার কল্পলোক ভাসিয়ে দাও আমার হৃদ-সাগরে।
তারপর আমিও তোমার মত পঞ্চমীর হেলে পড়া
বাঁকা চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকবো।
ভেবে যাবো তোমার মত,
সেই রুপে রুপে
হে চিরন্তন প্রকৃতি,
তুমি আমার প্রিয়ার দেহে প্রতীয়মান হও,
অবিনশ্বর রুপের সৃজনে নশ্বর দেহ।
২১১৪, ঢাকা।