“দুঃখের চামড়া”
দেহের সনে সেঁটে গেছে দুঃখের চামড়া
আমৃত্যু অক্ষয় নিশ্চয়তা।
ফাগুনের মাঝে হেঁটে যাই পথ কেঁটে
তবু চির দুঃখের বারতা।
মলয় পবনে এলোমেলো হয়ে যায় চুল
তবু দুঃখের চামড়াতে অগ্নি দহন।
পূর্ণিমার নরম আলোতে স্নান করে দেখেছি
তবুও নোনা ঘামের আবরণ।
লাল পিরানে ঢেকে রেখেছি দুঃখের চামড়া
ভিতরে যাতনার গোডাউন।
ঠোঁট কামড়ে অনায়সে হজম করি
লাল মরিচের আগুন।
শরাবের নহরে গোসল করে দেখেছি
শুধু সাময়িক চৈতন্য ভ্রম।
নেশা ফুরালেই পূর্ণ উদ্যমে
যাতনার ব্যস্ত কার্যক্রম।
সেজেছি সুখের অধিপতি কল্পনার জগতে
কিছুক্ষন দুঃখ ভুলে থাকার কসরত।
ফিরে আসি বাস্তবতার মাধ্যাকর্ষণ টানে
আমৃত্যু দুঃখের চামড়ার গারদ।
প্রতিশ্রুতির মলম নিয়ে এসেছিল কেউ
দুঃখ ব্যাধির উপশম।
কমে নি যাতনা এতোটুকু
ভুয়া মলমের বিষক্রিয়া চরম।
বাড়িয়েছে উল্টো আরও
উসকে দিয়েছে জ্বলন।
সুখের পরশের ওয়াদা করে
দিয়েছে অগ্নি শিখার বসন।
দুঃখের চামড়াতে মোড়ানো দেহ
তপ্ত জল বয়ে যায় অনুভবের শিরায়।
সুখের কোষ মরে গেছে চিরতরে
দুঃখের আগুনের ছোঁয়ায়।