“জনতার আদালত”
একদিন দাঁড়াতে হবে জনতার আদালতে
হিসাব দিতে হবে কড়াগণ্ডায়।
পাকড়াও হবে সময়ের হ্যাণ্ডকাফে
জনতার বিচার কে আছে খণ্ডায়?
পালাবার পথে জনতার দেয়াল
একনিষ্ঠ দায়িত্বশীল প্রহরী।
অতিসন্নিকটে জনতার আদালত
চলবে না উৎকোচের ছলচাতুরী।
উবে যাবে আজকের এই হাসি
ঝরবে সেদিন ঘামের ফোয়ারা।
আজ গিলে খেয়েছ জনতার অধিকার
অহমের ডানায় উড়ে আত্মহারা।
হস্তগত করেছ শাসনের লোহদণ্ড
আপন স্বার্থের অবিবেচক চুম্বকে।
নিজেকে ভাবছ অবিনশ্বর
ঈশ্বরতুল্য ক্ষমতার দাম্ভিকে।
নিজেকে ভাবছ আজ সর্বেসর্বা
জনতাকে ভাবছ তোমার ইচ্ছের দাস।
তোমার ইচ্ছেয় লিখেছ জনতার বিধি
মৌনতাকে ভাবছ আনুগত্যের অভ্যাস।
একবার শুধু জনতার মনের ঘরে ঢুকে দেখ
সেখানে দেখবে খটখটে ক্ষোভের লাকড়ির স্তূপ।
একটি স্ফুলিঙ্গের অপেক্ষায় এই মৌনতা
সময়ের দিয়াশলাইতে একটি ঘর্ষণের উন্মুখ।
আজ তোমার আকণ্ঠবিস্তৃত হাসি
সর্ব আঙ্গিনায় কুটিলতার জয়জয়কার।
ভেবেই নিয়েছ এমনি দিন যাবে বার মাস
আকাশ ছুঁয়েছ তোমার অহংকার।
শুধু একবার সময় করে ইতিহাসের পাতা খুলে দেখ
জনতার বিচার কি ভয়ঙ্কর!
দুর্দান্ত প্রতাপশালীর করুণ পরিণতি
ধুলোয় মিশে গেছে ক্ষমতার লস্কর।
আজ নিশ্চুপ এই শোষিত-প্রতারিত জনতা
তবে ভেব না নিষ্ক্রিয়।
অন্তরে লিপিবদ্ধ করছে তোমার অপকর্মের ফিরিস্তি
সেদিন হবে জবানবন্দি সক্রিয়।