“তাওয়াফ করুক সুখের ফেরিওয়ালা”
নিরন্তর বর্ষিত হোক শান্তির বারি তোমার ছায়াপথে।
কুসুমাস্তীর্ণ হোক জীবনের গালিচা;বিরামহীন আনন্দে থাকো মেতে।
কিরণের আভায় হাসুক নীল আসমান ;অবাঞ্ছিত হোক অলক্ষ্মীর কালো ছায়া।
আলোর দূত অরুণের পরশ;অনির্বাণ জ্বলুক পথের দিয়া।
ভেজালাম তোমার দিগন্ত আশীর্বাদের জলে;মঙ্গলের লাল তিলকে গগন।
হৃদয়ের সাত রঙে এঁকে দিলাম রংধনু-আমার শুভাশিষের নিঃস্বার্থ তোরণ।
কাঁধে ঝুলাইনি তো বিনিময়ের শর্তে কোনো স্বার্থপরতার থলে।
তাই তো আজও বাষ্পীভূত হয়নি প্রেম-বাহুডোরে থাকনি বলে।
সুক্ষ্ম কৌশলে বুনিনি কোনো স্বার্থপরতার জাল।
তাই তো ঢেকে যায়নি অপ্রাপ্তির কুহেলিকায় প্রেমের সকাল।
দূরে থেকেই ভালবাসতে চেয়েছি;যেমন ভালবাসি ঐ চন্দ্র।
উষ্ণ আলিঙ্গনে বাহু বন্ধনে চাইনি স্পর্শের আনুগত্য।
ভালবেসেও নির্লিপ্ত ছিলাম;বিবেকের ফিতা মেপে রেখেছিলাম দূরত্ব।
জোর করে আপন সুখ চাইনি;তাই তো করিনি আপন ইচ্ছের দাসত্ব।
বরং তুমি-ই কাছে এসেছ;অগ্রাহ্য করেছ বাধার দেয়াল।
তোয়াক্কা করনি বারণ-নিষেধ;পূজা করেছ আপন ইচ্ছের খেয়াল।
এতো কাছে এসেছিলে;ঐশ্বরিক পবিত্র বন্ধন।
আবার স্বেচ্ছায় ঘটালে আপন খেয়ালে বন্ধনের বিবর্তণ।
চলে গেছ তুমি বহুদুরে-না ফেরার শক্ত নিয়ত।
জানি না কেন সাজিয়েছিলে তবে এতো ছলনার পরত?
তবুও তোমার বলয়ে তাওয়াফ করুক সুখের ফেরিওয়ালা।
দূর হতে প্রার্থনা মোর সুনজরে দেখুক মাওলা।