বাঁশফালি চাঁদ জ্যোৎস্না …
প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক বাবা আমার ,
সেই যখন শৈশবে আমি /
পাজামা -পাঞ্জাবী পরে যেতেন স্কুলে,
রাস্তায় বের হয়ে পথ চলতেন সামনে-
ধীরে ধীরে অবিরাম /
বিনম্র শ্রদ্ধায় হাত নেড়ে সালাম জানাত
অসংখ্য ভক্ত মানূষকূল /
দুপুর গড়িয়ে বিকেলে যখন
দুর হতে ছুটে গিয়ে,
বাবার জামার আস্তিন ধরে ফিরতাম বাসায়-
( আহা শৈশব কী আনন্দ সময় !!)
সেই কবে ! বাবাকে দেখেছি
সেইসব- সরল- গ্রাম্য মানূষের মাঝে /
( যারা কোন পাপ করেনি বলে-
শক্তিমাণ ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা
কখনো প্রয়োজন মনে করতোনা )
গাঁয়ের লোকপথ ধরে-
সওদার ব্যাগে তেল-নুন,
দরকষার নিত্য সামগ্রী /
ময়লা আলোয়ানে জড়ানো –
পদ্মার পঁচা ইলিশ /
জটলা বেঁধে লোকজনের সাথে
গপ্পের বাজারে ফিরতেন সন্ধ্যেয় /
রাতের আহারে বসা শীতল পাটির উপর-
‘বাঁশফালি চাঁদ জ্যোৎস্না নোয়ায় যখন’/
ইলিশ খিচুরীর সাথে মায়ের সোহাগ মাখা-
বাবার ঘরমিত মূখ ,
আজকাল খুব মনে পড়ে !!