ব্যাকুলতা….
ইদানিং মন বড় ব্যাকুল হয়ে থাকে
কৈশোরের উঠোনে ফিরে যেতে,
অদ্ভুত আনন্দঝরা দিনগুলি সেই;
চোখগুলো যেন হয়ে উঠে মনের জানালা…
জানালায় উঁকি দিয়ে নিস্তব্ধতায় কাটে
ভাবনাগুলো হয় নীল পায়রা;
উড়াউড়ি করে কৈশোরের উঠোনজুড়ে।
সেই বটগাছ; মাথা ছিল আকাশসম
তার নিবিড় ছায়া যেনো বিনয়াবনত,
বটরে শিখরে বসে কেটেছে বিনোদ মুহুর্ত;
শিউলীর ঘ্রাণ, কামিনির শুভ্র পাঁপড়ির স্নিগ্ধতা
কাঠ গোলাপ উল্টো করে জলে ভাসিয়ে দেয়া
পরগাছা নীল বেগুনী অর্কিডের ছোঁয়া…
প্রভাতের শিশির ভেজা ঘাস,
রোদেলা দুপুরে ছিপে মাছ ধরা,
টিপ টিপ বাদল ঝরে অন্ত:পুরে,
স্মৃতিগুলো বিস্রুত হয়ে ভেসে যায় অতীতে।
মনোহর দিনগুলি তাড়া করে অহর্নিশ..
মুহুর্তেই হয়ে উঠি কিশোরী….
ফিরে যাই সেই রোদেলা দুপুরের দোয়েল সময়ে;
আচম্বিতে ডিজিটাল যুগের বেতাল সুর;
বিদীর্ণ করে দেয় মনের উঠোন; ইতি টানি প্রজাপতি দিনের,
ব্যাকুল হয়ে ফিরে আসি আবার যান্ত্রিক কাক ডাকা শহরে।