নবীর শত্রুরা হুঁশিয়ার
বিশ্বনবীর গোলামেরা বিশ্বব্যাপীই বিদ্যমান,
বিশ্বনবীর দুশমনেরা হও হুঁশিয়ার হও সাবধান ॥
সব মুমিনের মনের রাজ্যে যেই নবীজী শাহানশাহ্,
কাবার অধিক প্রাণের প্রিয় যেই নবীজীর আরামগাহ্ ।
হৃদয় তীর্থ যাঁর রওজাহ্ ॥
তাঁর ইজ্জতে আঘাত করে
বাঁচবে না কেউ ধরার ’পরে,
গর্তে গিয়েও লুকাস যদি কেড়ে নিব তোদের জান।
দেশে দেশে করবো মোরা তোদের বিরুদ্ধে অভিযান ॥
ইহুদি কবি কা’ব-আশরাফকে ঘরে ঢুকে তার মেরেছি,
দুর্জয় দূর্গে প্রবেশ করি আবু রাফের কাম সেরেছি।
নাপাক প্রাণ তার কেড়েছি ॥
আর ‘রঙ্গীলা রাসুল’ লেখিয়া
রাজপাল গেল মজা দেখিয়া
দিবালোকে বীর ইলমুদ্দীন সংহার করল তাহার প্রাণ।
আর হাসি মুখে সে পরল ফাঁসি শুনিয়া নবীজীর আহবান ॥
‘হিস্ট্রি অফ ইসলাম’ লিখিল আর্য পান্ডা নাথুরাম,
ব্রিটিশ প্রিয়ডে চেয়েছিল কুড়াতে যশ খ্যাতি নাম।
অর্থ কড়ি এ্যাওয়াড ইনআম ॥
নবী প্রেমিক আব্দুল কাইয়ুম
হারাম হলো তার আহার ও ঘুম
ভাবছে নবীর কোনো উম্মত নাই কি ধরায় বর্তমান?
বাজার থেকে কিনল ছোরা টগবগে এই নওজোয়ান ॥
করাচির হাইকোর্টে সেদিন ইংরেজ বিচারপতিগণ
নাথুরামের আপিল মামলার শুনানি করছে গ্রহণ।
আব্দুল কাইয়ুম কোর্টে ঢুকে
চড়াও হল নাথুরামের বুকে
ছোরা মেরে তারে হত্যা করল উঠল তাকবীরের শ্লোগান।
ফাঁসির মঞ্চে সে গেয়ে গেল প্রিয় নবীজীর প্রেমের গান ॥
এই পৃথিবীর বুকে এখন দেড়শ কোটি মুসলিমীন
প্রত্যেকেই আজ বীর মুজাহিদ আব্দুল কাইয়ুম ইলমুদ্দীন।
সবাই নবীজীর আশিকীন ॥
তাই দিয়ে কার্টুন ছায়াছবি
করে যারা আজ বেআদবী
ধরতে ওদেরে সিংহের মত গর্জন করছে মুসলমান।
অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিচ্ছে রক্ষা করতে নবীর শান ॥
পরাশক্তির ছত্রছায়ায়ও বাঁচতে তোরা পারবে না
হাবীবে খোদার অনুচররা পেছন তোদের ছাড়বে না।
ভয় ভীতির ধার ধারবে না ॥
ওপার থেকেও সপ্ত সিন্ধুর
রুশদী আজো গর্তের ইন্দুর
দাউদ হায়দার তাসলিমারা বদলে বেড়ায় অবস্থান।
স্বদেশ থেকে বিতাড়িত ফেনার মত ভাসমান ॥
চেয়ে দেখ আজ কোথায় গেছে লম্পট হুমায়ুন আজাদ
মরণকে তার ডেকে আনল ‘পাক সার জমিন শাদ বাদ’।
শেষ হল দুঃস্বপ্ন সাধ ॥
টিএসসিতে ছাত্রের হাতে
যে কোপ খেল এই কমজাতে
রক্ষা করতে পারল না আর তারে চিকিৎসা বিজ্ঞান।
জার্মানীর এক হোটেল কক্ষে মদ পানে হয় শেষ প্রয়াণ ॥
হে দুরাত্মা হে নরাধম হে নাকুলা বাসেলি!
ব্যাংক চেক জালিয়াতির মামলায় জেলখানায় তুই আছিলি।
মুচলেকায় জামিন পেলি ॥
হে প্রবঞ্চক হে প্রতারক
হলে জঘন্য ফিল্ম প্রযোজক
স্বজাতির কাছে সাধু হতে করলে এ কাজ হে শয়তান।
‘ইনোসেন্স অফ মুসলিম’কে তোর করল সবাই প্রত্যাখান ॥
হে পাপিষ্ট বিদ্বেষীরা তোদের কি তা নাই জানা?
মুসলমানের জন্য ফরয তোদের নবীদের মানা।
তাদের উপরই দেস হানা!
তাওরাত জাবূর ইঞ্জীল তোদের
মান্য করা ফরয মোদের
তোরা তবু মানিস না কেন আমাদের হাদীস কুরআন?
এমন মহান নবীর দুশমন তোরা কি মানব সন্তান?
তোরাই সবচেয়ে সামপ্রদায়িক মৌলবাদী ধর্মান্ধ,
সংকীর্ণমনা ক্রুসেডার জঙ্গী জাতিগত ভাবেই মন্দ।
তোরাই আগে বাড়াস দ্বন্দ্ব ॥
আল্লাহর নামের সাথে যাঁর নাম
আল্লাহর পরেই যাঁর শ্রেষ্ঠ মাকাম
সেই মহাত্মার করি বদনাম নষ্ট করছিস নিজ সম্মান।
চামচিকা বাদুড়ের ফুঁকে রবি কি আর হয় নির্বাণ ॥
আল্লাহর আলোর আলো যিনি যিনি আল্লাহর প্রেমাষ্পদ,
‘আহাদ’ থেকে ‘আহমাদ’ এবং ‘মাহমূদ’ থেকে ‘মুহাম্মদ’।
নিখিলের সেরা সম্পদ ॥
যে-মহাবিশ্বের আদি-উৎস-মূল
যাঁর নূরে এই মাখলূকাত কুল
আওয়াল ও আখেরী রাসূল সত্তা যাঁর সবচেয়ে মহান।
দয়ালু বন্ধু করুণা সিন্ধু স্রষ্টার গুণে গুণবান ॥
যে আগুন নিয়ে করছিস খেলা জ্বলে মরবে সে অনলে
তোদের সকল অপচেষ্টা যাবেই যাবে বিফলে।
একদিন এই ধরাতলে ॥
নিভবে না ইসলামের বাতি
নির্মূল হবে না মুসলিম জাতি
তোরাই বরং তৈরি করছিস তোদের তরে গোর-শ্মশান।
যে অপরাধ করছিস তোরা কম্পিত জমিন আসমান ॥
মুসলমানদের কত রাষ্ট্র অন্যায় ভাবে করলে গ্রাস
কত মানুষ হত্যা করলে কে গুনবে শহীদের লাশ।
ফুলের মত শিশুর বুকে
বোমা মারিস পৈচাশিক সুখে
লাশের উপর পেশাব করে নেচে গেয়ে করিস উল্লাস।
মানব মুখোশ খসে পড়ে দানবীয় রূপ হয় প্রকাশ।
নজীর বিহীন তোদের সন্ত্রাস ॥
এমনি ভাবে দিচ্ছিস তোরা যতই মোদেরে বেদনা
তোদের সে আঘাতে হচ্ছে শাণিত মোদের চেতনা।
ধার করা যা যেত না ॥
শাসকরাও জেগে উঠছে
গোলামীর বন্ধনকে টুটছে
ন্যায্য কথা মুখে ফুটছে খুলছে আজ বন্ধ জবান।
দাবানলের ন্যায় জ্বলে উঠছে নিভু নিভু একীন ঈমান ॥
আত্ম পরিচয় মুসলমানরা ক্রমান্বয়ে করছে লাভ
চোখ থেকে দূর হচ্ছে তাদের তোদের দেখানো রঙ্গীন খাব।
উন্মেলিত হচ্ছে মুদিত আঁখি
চিনতে তোদেরে নাই আজ বাকী
ডলার দিয়ে ডল বানাবে ভুলে যা’ আজ সেই হিসাব।
নতুন আঙ্গিকে হৃদয়ঙ্গম করছে আজ কুরআন কিতাব।
প্রভুর সাথে হচ্ছে ভাব ॥
তোরা আদি সাম্রাজ্যবাদী দুর্বৃত্ত খুনি মাস্তান,
অপসৃত হবে না কভু তোদের অন্যায়ের দাস্তান।
শেষ করলে কত বুস্তান ॥
ডকে ডকে পুষিয়া ডগ
শিকার করিস মুক্ত বিহগ
চিত্রা হরিণ নীল গাই মারতে অরণ্যে দাগিস কামান।
কত শষ্য ফসলের মাঠ করলে হায় তোরা বিরান ॥
ভোল তোদের বদলায়ও যদি বদলায় নাকো উদ্দেশ্য
নানাভাবে পদানত করি রাখতে তোরা চাস বিশ্ব।
তোদের আগ্রাসনের পথে
যে রুখে দাঁড়ায় কঠিন হিম্মতে
বিশ্বের দৃশ্যপট থেকেই সে হয়ে যায় গুম অদৃশ্য।
তোদের মত নাই স্বার্থপর কেউ নাই এত অবিমৃষ্য।
তোরা দাজ্জালের শিষ্য ॥
সাদ্দাম উসামা গাদ্দাফিকে অন্যায়ভাবে করলে খুন,
বাগদাদ কাবুল ত্রিপোলিতে জ্বলছে সেই ক্ষোভের আগুন।
রণ ধ্বনি কান পেতে শুন ॥
যে সব দেশে গাড়লে ঘাঁটি
কঠিন সে সব দেশের মাটি
দখলে তোদের দমন হয়নি ইরাক ও আফগানিস্তান।
শেষ না হয়ে বলিষ্ঠই শুধু হয় আল কায়দা তালেবান ॥
হামাস এবং হিজবুল্লাহ যে দেখায় তোদের বৃদ্ধাঙ্গুল,
অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায় চোখে তোদের দিয়ে ধুল।
এত দাম্ভিক যে ইসরাইল
তার উপর রকেট মিসাইল
বৃষ্টির মত বর্ষণ করি বাধায় ভীষণ হুলুস্থূল।
পরাশক্তির পরাজয় দেখে ভাঙ্গে তখন সবার ভুল।
হাসে শোকেসের পুতুল ॥
করিস যত অবরোধ আরোপ
বৃদ্ধি পায় তত তেজের প্রকোপ
প্রতিশোধ নিতে পারমাণবিক চুল্লি বাড়ায় আজ ইরান।
হুংকার দিচ্ছে যুদ্ধ বাঁধলে ইসরাইল হবে বিরান ॥
সালমান রুশদীর মাথার মূল্য ইরান আরো বাড়াল
জোশ জজবা হিম্মতের গন্ডি তেহরান যে আজ ছাড়াল।
খোমেনীকে টেক্কা মেরে
খামেনী আজ গেল বেড়ে
সিন্দাবাদের ভূতকে ওরা মিডল ইস্ট থেকে তাড়াল।
চীন রাশিয়া ন্যামভুক্ত সব দেশ পাশে তার দাঁড়াল।
অসুরের মস্তক মাড়াল ॥
যে ড্রোন হামলায় পাকিস্তানে নিত্য করছিস মানুষ খুন,
সে ড্রোন নামায় ইরানীরা এ কোন ম্যাজিক- মন্ত্রের গুণ?
চলবে না আর হানিমুন ॥
ওয়াশিংটন লন্ডনে বসে
কাটবে না আর দিন হরষে
টুইন টাওয়ারের মতই তোদের প্রাসাদ সব হবে খান খান।
সুনামি স্ফিত সমুদ্রের ন্যায় ফুঁসে উঠছে মুসলিম জাহান ॥
শেষ হয়েছে সুদিন তোদের এসেছে পতন নামি
পারবে না আর করতে তোরা ধোঁকাবাজি ও ভণ্ডামি।
চলবে না আর গুন্ডামি ॥
জেগেছে আজ মুসলিম ভবে
পাততাড়ি তোদের গুটাতে হবে
জাদুঘরের বস্তু শীঘ্রই হবে জালিম ইহুদি খ্রিস্টান।
সারা জাহানে উড়বে সেদিন ইসলামের বিজয় নিশান ॥
যেই নবীজীর ভালবাসা মুমিনের ঈমানের মূল।
মুমিন প্রাণে দুজাহানে প্রিয় নাই কেউ নবীর তুল।
নবীর জন্য মুমিন আকুল ॥
জন্মদাতা পিতা মাতা
স্ত্রী পুত্র ভগ্নি ভ্রাতা
যত আছে প্রিয় আপন নয় কেহ নবীর সমান।
তাই নবীজীর প্রেমে মুমিন অকাতরে হয় কুরবান ॥
এই দুনিয়ায় মুসলমানরাই সবচে বেশি সহনশীল,
মুখ বুজে সে সহ্য করবে কেড়ে তাহার নাও নিখিল।
বিচলিত তার হয় না দিল ॥
কিন্তু সে করবে না ক্ষমা
এ ক্ষোভ থাকবে চিত্তে জমা
নবীর শানে বেআদবী করলে কোনো নাফরমান
নবীর চরিত্রে আঘাত করলে হৃদয় তন্ত্রীতে পড়ে টান ॥
নবী প্রেমের সেই দৃশ্য তোরা চেয়ে দেখ বিশ্ব জুড়ে,
রণতরীর চার দিক তোদের ঘূর্ণিঝড়ের ন্যায় ঘুরে।
বজ্র নিনাদে মেঘ উড়ে ॥
বাহারে কুলজুম- লোহিত সাগর
ফুঁসে উঠেছে সম অজগর
মরুক্কো থেকে ব্রুনাই অবধি বইছে ক্ষোভের ঝড় তুফান।
বেনগাজী থেকে সৃষ্ট ভূকম্পে আন্দোলিত হচ্ছে চীন জাপান ॥
যেই নবীজীর উম্মত হতে চাইলেন তোদের সব নবী
সেই নবীর বিরুদ্ধে বানাস সিনেমা ব্যঙ্গ ছবি?
ভয়ংকর বেআদবী ॥
কার বিরুদ্ধে করছিস এসব
হাড়ে হাড়ে করতে অনুভব
যদি তোদের পয়গাম্বররা থাকতেন এখন বর্তমান।
শাস্তি দিতেন মূসা, ঈসা, ইউসূফ, দাঊদ, সুলায়মান ॥
মুহাম্মাদকে চিনতে পারবি তাওরাত জাবূর ইঞ্জীল পড়,
তোদের ধর্মের হুকুম মেনে নূর নবীজীর রাস্তা ধর।
পা ধরে তাঁর তওবা কর ॥
শাহে দুজাহান শাহে মদীনা
মুহাব্বতে তাঁর ভর রে সিনা
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে তাঁর উপরে ঈমান আন।
ইহকাল পরকালে তবেই পাবে মুক্তি পরিত্রাণ ॥
১৪/১৫ আশ্বিন ১৪১৯ বাংলা। ২৯/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২। শনি/রবি।