“তুমি ভালবাসা চেয়েও না”
তুমি ভালবাসা চেয়েও না কারো কাছে
তোমার কাছে নেই ভালবাসা ধরে রাখার পাত্র।
তুমি করুণ আকুতি নিয়ে ভালবাসা প্রার্থনা কর
কিন্তু তোমার ভালবাসা’র ভাণ্ডে অসংখ্য ছিদ্র।
তাই তুমি ভালবাসা ধরে রাখতে পারো না
তোমার ভালবাসা পাত্র সহসায় হয়ে যায় শূন্য।
উজাড় করা ভালাবাসা পেয়েও ধরে রাখতে পারো না
উলটো ভালবাসা প্রদানকারী তোমার বিচারে ঘৃণ্য।
তুমি ভালবাসা চেয়েও না কারো কাছে
তোমার ভালবাসা’র জমি মরু প্রান্তর।
পুরো আকাশ গঙ্গা ঢেলে দিলেও কিছুই নয়
উধাও হতে লাগে দু’পলকের মধ্যবর্তী অন্তর।
তাই তুমি ভালাবাসা ধরে রাখতে পারো না
উলটো মরু’র তাপে ভালবাসা প্রদানকারী হয় দগ্ধ।
সর্বস্ব হারিয়ে আকাশ গঙ্গা নিঃস্ব হয়ে যায়
সাইমুমের প্রবঞ্চনায় অন্ধকার হয় লব্ধ।
লম্বা কেশের অধিকারিণী বঙ্গ ললনা নও তুমি
তোমার নেই ভালবাসা’র ফুল গেঁথে রাখার খোঁপা।
কাগজের ফুলে তোমার ফুলদানি পরিপূর্ণ
অকৃত্রিম ফুল রাখার ফুলদানির কোথাও নেই ফাঁপা।
তুমি ভালবাসা’র ফুল রাখতে পারো না
উলটো ভালবাসা’র ফুল কর নষ্ট।
তোমার হাইহিলের তলে পিষ্ট করে
পাপড়ির দেহে আঁক কালো কষ্ট।
তুমি ভালবাসা চেয়েও না কারো কাছে
রাখতে পারো না ভালবাসা’র রঙ্গিন প্রজাপতি।
নমনীয়তা তোমার কাছে অপর্যাপ্ত
কঠিন মুঠিতে নিশ্চিত কর ভালবাসা’র চির যতি।
তাই তুমি ভালাবাসা ধরে রাখতে পারো না
উলটো ভালবাসা ভোগে নিরাপত্তাহীনতায়।
তাই ভালবাসা’র প্রজাপতির সমাধি হয়
অশ্রু বিলাপের করুণ বীণায়।
তুমি ভালবাসা চেয়েও না কারো কাছে
তোমার হৃদয় নয় ভালবাসা’র লায়েক।
ভালবাসা তোমার কাছে খেলনা তুল্য
যার প্রতি তোমার ক্ষণিকের আবেগ।
তাই তুমি কোনো ভালবাসা ধরে রাখতে পারো না
কোনো ভালবাসা তোমার কাছে নয় চিরস্থায়ী।
নব নব ভালবাসা তোমাকে উত্তেজিত করে;
তোমার নালায়েক হৃদয় দায়ী।
তুমি ভালবাসা চেয়েও না কারো কাছে
তোমার নেই ভালবাসা’র ভার বহন করার সামর্থ্য।
জোর করে কেন ভালবাসা গ্রহণ করতে যাও?
ভালবাসা’র ভার ফেলে দিয়ে কেন কর অপদস্থ?
রাখতে পারলে রাখলাম নয় তো ফেলে দিলাম-
এই হয়তো তোমার গাছাড়া দর্শন।
কিন্তু যার ভালবাসা অবহেলা করে ফেলে দিলে
তার তরে ভালবাসা ঈশ্বরের দর্পণ।
তাই তুমি ভালবাসা চেয়েও না আর কারো কাছে
নিও না আর হৃদয় ঈশ্বরের অভিশাপ।
স্বেচ্ছারী ইচ্ছার অনুচর হয়ে
কর না চুরি আর কারো হৃদয়ের গিলাফ।