স্পেস-১৪(অংশ১৩)
অনিকেত মুচকি হেসে বলে-পথ দিয়ে আসতে ছিলাম।এমন সুন্দর ফুল দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না।মনে হল,ফুলটা তোমার খুব পছন্দ হবে।
-একদম বাজে।কখনও আর আমার জন্য ফুল নিয়ে আসবেন না।ফুল আমার ভাল লাগে না।
-আচ্ছা এরপর আর আনব না।
-আপনি কী চান একটু দয়া করে বলবেন?
-আপাতত ফুলটা নাও।
-আচ্ছা নিলাম।আপনি চলে যান।
-কিছুক্ষণ থাকি।তোমার কাছাকাছি থাকতে আমার খুব ভাল লাগে।
-আমার একটা রিলেশন আছে,আপনি কেন বুঝতে চান না?
-সেতো আমি নিজেও বুঝতে পারি না।পৃথিবীতে এত মেয়ে আছে,তবু তোমাকে কেন যে এত ভাল লাগে বুঝতে পারি না।
-ভালবাসা একদিক থেকে হয় না।এছাড়া আমার আপনাকে পছন্দ না।
-এখন নয়,পরেতো পছন্দ হতেও পারে।
-না আপনাকে নিয়ে আর পারা যায় না।আমি ভাল থাকি ,এটাতো আপনি চান?
-তুমি ভাল থাক এটাই তো আমার সবসময়ের চিন্তা।
-তবে আমার পিছন ঘুর ঘুর করা বন্ধ করেন।তাহলে আমি খুব ভাল থাকব।
অনিকেত হেসে উঠে।এমন কথা শুনে কষ্ট পাওয়ার কথা,হেসে উঠল কেন,বুঝতে পারল না শ্রাবন্তী।
-হাসলেন যে?
-একটা কথা ভেবে?
-কি কথা?
-এখন তুমি আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছ।একদিন হয়তো এমন সময় আসবে যেদিন আমাকে কাছে চাইবে,আমাকে দেখার জন্য ছটফট করবে,কিন্তু কিছুতেই আর আমাকে পাবে না।
শ্রাবন্তী বিরক্ত হয়ে বলে-আপনার মাথাটা বুজেছি পুরোপুরি গেছে।কথা বলাই বৃথা।
-মহামতি মহামতি
পেছনে তাকিয়ে দেখে হিপ।দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে-বল।
-এখানে কি করছেন?
-এইতো বসে আছি।
-আমি আপনার পাশে বসতে পারি।
-বস।
হিপ শ্রাবন্তীর পাশে বসল।
-একটা ভাল খবর আছে।
-বলে ফেল।
-অনিকেত নামের ছেলেটার লেখক হিসেবে বেশ নাম ডাক হয়েছে।
শ্রাবন্তীর চোখ মুখ চকচক করে উঠল।খুব ভাল লাগছে।এত ভাল লাগছে কেন,বুঝতে পারল না।