সম্পাদকের কৈফিয়ত(!!) নাকি প্রাণের ছোঁয়া?
আমি আনন্দিত।আমার মত হয়তো অনেকেই।যারা অপেক্ষায় ছিল অন্তত একটি কৈফিয়তের।কৈফতটি আমরা পেয়েছি।দেরিতে হলেও জানা গেল।সম্পাদক সাহেব কৈফিয়ত দিয়েছেন। সাথে কিছু বোনাস!! ভালো লাগছে জেনে যে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চলন্তিকা আসছে নব আঙ্গিকে! আরো আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে! কী মজা…..!!!!
মনটি বেজায় গোস্বা করে ছিল।আর ওই গোস্বার কারণটি কি (?) তা সম্পাদক সাহেব নিজেই বলে দিয়েছেন।তাই বাড়তি কিছু বলতে চাই না।সাঈদ চৌধুরী অবশ্য লিখেছেন- ব্লগটির অবস্থা এমন কেন? আর তাতেই বোধ হয় সম্পাদক সাহেব নড়েচড়ে বসেছেন।
যাক, এখন আর সেই গোস্বা নেই।ধন্যবাদ সম্পাদক সাহেবকে।
চলন্তিকা ব্লগটা কেমন? কেন এই প্রশ্ন করছি? এই প্রশ্নটা করার একটা ভিন্ন কারণ আছে।প্রথম উত্তরটি হলো জাত-ধর্মে এইটি একটি সাহিত্য ব্লগ।সাথে অনেক রঙ্গরসের জায়গাও ছেড়ে দেয়া আছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা তা হলো, এখানের লেখকরা মূলত নবীন।অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে।বাকিটা ছেড়ে দিলাম লেখক বন্ধুদের মন্তব্যের জন্যে।’ওহ মাই গড’!! মন্তব্য করার সুযোগই তো নেই! জানিনা একতরফা হয়ে গেল কিনা।
প্রশ্নের পরের উত্তরটি হলো, চলন্তিকা ব্লগটির একটা খোলা প্রাণ আছে। যে প্রাণটি গত কয়েক দিন ধরেই অনুপস্থিতি।একদম অন্যরকম।নেই কোনো চঞ্চলতা।কোনো কোলাহল।সবই স্তব্ধ।যেন থেমে গেছে।আর সেই অনুভূতি থেকেই আজকের এই পোষ্টটি।
খোলা প্রাণটা কোথায়? প্রাণটা বন্ধুদের কলমের খোঁচায়।চলন্তিকার বন্ধুরা সবাই যেন কলম যোদ্বা। একটি লেখা পোষ্ট করার সাথে সাথে যে ভাবে গরম গরম মন্তব্য করতে থাকে সেইটি হলো চলন্তিকার প্রাণ।অসাধারণ এবং চমত্কার সব মন্তব্য।সমান তালে চলে আড্ডাও।এ যেন চায়ের কাপের আড্ডা! একজন লেখকের ভাবনাকে আরো শানিত করে তার লেখার সমালোচনায়।অনেক সময় মূল লেখার চেয়ে লেখার সমালোচনা ও মন্তব্য হয়ে উঠে আরো বেশি প্রানবন্ত। মজাদার।কৌতুহলী। কখনো রোমাঞ্চকর।এই আলোচনা- সমালোচনায় লেখক পেয়ে যায় নতুন ইঙ্গিত।লেখা হয়ে উঠে আরো জীবন্ত।
গত কদিন ধরে জীবনের ওই ছোঁয়া থেকে আমরা ছিলাম বঞ্চিত। এখনো আছি।এবার আশ্বস্ত হলাম সম্পাদকের কৈফত পেয়ে। যাক বাঁচা গেল।তাই বলছি এটা কী কৈফিয়ত নাকি প্রাণের ছোঁয়া?
শেষ করছি বীর বাঙালিদের স্মরণ করে।এগিয়ে যাচ্ছে একুশের মাস।রাত পোহালেই মহান ২১শে ফেব্রুয়ারী।একই সাথে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।আর এই মাসটি যেন ছিল চলন্তিকায় কবিতার মাস।সাড়া মাস জুড়ে ভাবুক কবিদের অসাধারণ কাব্য। চলন্তিকার পাতায় যেন বসেছিল কবিতার মেলা।সব কাব্য লেখকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।