এরপর কি হল?
কি যেন হল?এরপর কি হল?
লেখক নিশ্চুপ।কাহিনী জমজমাট হয়ে উঠেছে।পাঠকের কিছুতেই তর সইছে না।লেখকের উপর খুব রাগ উঠছে।লেখাটার শেষ না পড়লে কিছুতেই ভাল লাগছে না।কিন্তু লেখক নিরুপায়।তার মাথা একেবারে খালি মনে হচ্ছে।লেখাটা কিভাবে শেষ করবে কিছুতেই ভেবে পাচ্ছে না।কেন জানি মনে হচ্ছে,আর বোধহয় লেখা হবে না।রাস্তায় বের হয়।মাথার উপর মস্তবড় আকাশ।আকাশে রোদের ঝিকিমিকি।হঠাৎ করে ঝম ঝম করে বৃষ্টি নামে।সাথে প্রচণ্ড বাতাস।আকাশে এক ঝলক এক ঝলক আলো দেখে বিস্মিত হয়ে যায়।
-স্যার,স্যার?
না,বদগুলো কিছুতেই বোধহয় পিছু ছাড়বে না।ঝাড়ুপেটা না দিলে এরা ঠিক হবে না।
-স্যার বৃষ্টিতে ভিজবেন না।সর্দি লাগতে পারে।এলোপাথাড়ি বাতাস হচ্ছে।অঘটনও ঘটে যেতে পারে।
-ঘটলে ঘটবে।তুমি বিদায় হও।
-সেতো যাওয়া যাবে না।আপনি লেখা না দেওয়া পর্যন্ত আমার কোথাও যাওয়া যাবে না।পত্রিকা অফিস হতে কড়া হুকুম।গত দুই মাস হতে আপনি লেখা দিবেন দিবেন করে দিচ্ছেন না।পাঠকেরা ক্ষেপে আছে।মিছিল মিটিং করা শুরু করে দিয়েছে।
-আমি আর লেখালেখি করব না।
-কি বলেন স্যার?তাহলেতো আমাদের পত্রিকায় বন্ধ হয়ে যাবে।ইতিমধ্যে বোমা মেরে অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে যদি আপনার লেখা পাঠক না পায়।স্যার কিছু একটা দিয়ে শেষ করলে কি হয়?
লেখক লোকটার দিকে তাকায়।লোকটার চোখে মুখে এক ধরণের আতংক।লেখাটা না দিলে হয়তো তার চাকরিটাই চলে যাবে।লেখক তাড়াতাড়ি রুমে চলে যায়।লিখতে বসতেই তার মধ্যে অস্থিরতা বাড়তে থাকে।বাড়তে থাকে হার্টের ধুকধুকানি।লেখাটা তাকে শেষ করতেই হবে।করতেই হবে।যেভাবেই হোক।