সুইসাইড নোট
চিঠির প্রথমেই লেখা,
তোমরা ভুলে যেও আমায়।
তার পরে লেখা,
তোমরা ক্ষমা করো আমায়।
তারপর আরো কিছু কথা লেখা,
লেখা আছে, ‘আমি বৃষ্টি ভালবাসি,
শত শত দিন ইচ্ছে হয়েছে ভিজতে বৃষ্টিতে,
তাই মরার সময়ে হলেও যদি পারি মারা যাব বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে।’
হ্যাঁ, সে তাই করেছে,
হাতে বিষের বোতল নিয়ে
সে চলে গিয়েছিল বাড়ির ছাদে।
তারপর বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে চলে গেছে না ফেরার দেশে।
প্রশ্ন হল, কেন সে এমন করল?
কেন সে চলে গেল ভেসে বাতাসে বাতাসে
কেন তার শ্বাস আজ আকাশে আকাশে
কেন তার সুইসাইড নোট আজ বৃষ্টির পতনে পতনে বাজে?
এই কেন’র উত্তরের ভবিষ্যতই বা কী?
আর কত সুইসাইড নোটই বা লেখা হবে?
অথবা আর কতকাল তিক্ত বিষের আঘাতে
মুখ হতে বের হওয়া চিৎকারের ধ্বনিই বা শুনা যাবে?
অথবা এর উত্তরই বা কোথায় আমি জানি না,
আর কতকাল কালশাপের দংশনের শিকার হয়ে
তারা নিজেকে সপে দেবে আজরাইলের হাতে?
জীবনের তৃষা মুছে যাবে হৃদয় হতে আর কত আঘাতে আঘাতে?
ঐ নারী মিথ্যে প্ররোচনার শিকার হল বলে,
সুইসাইড নোট;
ঐ নারী ধর্শনের শিকার হল বলে,
সুইসাইড নোট;
ঐ নারী যৌতুক দিতে পারল না বলে,
সুইসাইড নোট;
ঐ নারী ভালবাসল বলে
সুইসাইড নোট;
অথবা সমাজের রীতে মেনে তাকে হীনভাবে পরিবারে থাকতে হল বলে
মুল্যহীনতার শিকার এ নারীর সুইসাইড নোট যে ভালবাসে বৃষ্টি।
৩০.০৬.১৩, ঢাকা।