Top today
টোকাই
সাত বছরের চান্দু মিয়া ঢাকায় থাকে ঢাকায়-
এই শহরের মানুষগুলো নাম দিয়েছে- ‘টোকাই!’
এই শহরে জন্ম নেয়, এই শহরে বাস;
ক্ষিধের জ্বালায় পার্কে বসে খায় চিবিয়ে ঘাস।
এই শহরের মানুষগুলো নাম দিয়েছে- ‘টোকাই!’
এই শহরে জন্ম নেয়, এই শহরে বাস;
ক্ষিধের জ্বালায় পার্কে বসে খায় চিবিয়ে ঘাস।
কেউ বলে না, ‘এই নে সোনা- প্রান জুড়িয়ে খা;’
চাইলে খাবার বলছে, ‘যা ভাগ- আস্তাকুড়ে যা।’
বাণের বছর মা মরেছে, নেইকো বাবার খোঁজ;
আস্তাকুড়েই কাকের সাথে খাচ্ছে বসে রোজ।রাত্রি হ’লে ঘুমোয় পথে, পথই যে তার ঘর;
মানুষ থাকে অট্টালিকায় সে মানুষের পর।
বৃষ্টি হলে মধ্যরাতে ভিজেই সারা হয়;
তুচ্ছ টোকাই দুঃখ-কথা কার কাছে বা কয়!শীতের রাতে কষ্ট- আহা প্রানটা রাখা দায়!
কেউ বলে না -‘এই নে কাঁথা’, হায় রে মানুষ, হায়!’
কত্ত রকম ধান্দা করে ভোর হতে সেই রাত।
তাও জোটে না চাঁদকপালে মুষ্টি ভরা ভাত।লুঙ্গি পরা চান্দু টোকাই এই তো আছে বেশ!
গুনছে প্রহর কখন হবে এই জীবনের শেষ।
চাইলে খাবার বলছে, ‘যা ভাগ- আস্তাকুড়ে যা।’
বাণের বছর মা মরেছে, নেইকো বাবার খোঁজ;
আস্তাকুড়েই কাকের সাথে খাচ্ছে বসে রোজ।রাত্রি হ’লে ঘুমোয় পথে, পথই যে তার ঘর;
মানুষ থাকে অট্টালিকায় সে মানুষের পর।
বৃষ্টি হলে মধ্যরাতে ভিজেই সারা হয়;
তুচ্ছ টোকাই দুঃখ-কথা কার কাছে বা কয়!শীতের রাতে কষ্ট- আহা প্রানটা রাখা দায়!
কেউ বলে না -‘এই নে কাঁথা’, হায় রে মানুষ, হায়!’
কত্ত রকম ধান্দা করে ভোর হতে সেই রাত।
তাও জোটে না চাঁদকপালে মুষ্টি ভরা ভাত।লুঙ্গি পরা চান্দু টোকাই এই তো আছে বেশ!
গুনছে প্রহর কখন হবে এই জীবনের শেষ।