“ঘর”
নদীর পার ঘেঁষে কাশবন।আর সেই কাশবনের বুক চিরে চলে গেছে একটা মেঠোপথ।জায়গা খুব সুন্দর।বিকেল বেলা জায়গাটা আরও বেশি সুন্দর লাগে।সেই জন্যই মনে হয় বিকেল বেলা অবসর কাটাতে কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকারা একান্তে কিছু সময় কাটাতে এখানে ভিড় করে।নদীর তীরের মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস কাশবনে দোলা দেবার আগে বোধহয় এইসব প্রেমিক-প্রেমিকার মনে দোলা দিয়ে যায়।তাই প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে এই জায়গাটার গুরুত্ব মনে হয় একটু বেশি।এখানে না এলে মনে হয় প্রেম ঠিক জমে ওঠেনা।।
তেমনি ভাবে এই জায়গাটা ছোট বেলা থেকেই অনেক প্রিয় ছিল তমাল ও মাহির। ছোট বেলা যখন তমাল ও মাহি এখানে আসত তখন তারা ছিল বন্ধু ও মামাতো-ফুপাতো ভাই বোন।কিন্তু ছোট বেলার সেই বন্ধুত্ব একসময় পরিনত হয় ভালোবাসায়।কিন্তু তমাল মাহির ফুপাতো ভাই হওয়ায় ও ছোট বেলা থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকায় তাদের এ সম্পর্কের ব্যাপারে কেউ আঁচ করতে পারেনি।তমালরা শহরে থাকতো।তাই নানা বাড়ি বেড়াতে এলে তমাল ও মাহি তাদের একান্ত সময় গুলো কাটাতে নদীর ধারে এই জায়গাটায় আসে।কারন এখানে তাদের কেউ বিরক্ত করেনা।রাড়িতে কি প্রেম জমে নাকি?সবাই বিরক্ত করে।প্রেম করতে হয় গোপনে।।তাইতো তাদের এখানে আসা……
তমাল-মাহি পাশাপাশি বসে থাকে।দুজন দুজনার হাত ধরে বসে থাকে।মাহি তমালের কাঁধে মাথা রাখে।তমালের কাঁধে মাথা রেখে মাহি নদীর দিকে তাকিয়ে থাকে।আকাশ দেখে।তমাল পাশে থাকলে মাহির সব কিছু ভাল লাগে।তাই আজ মাহির সব কিছু ভাল লাগছে।এমনিতেও আজকের বিকেলটা খুব সুন্দর।।
ভালোবাসার নানা কথা,নানা রকম খুনসুটিতে মেতে ওঠে তমাল-মাহি।নদীর বুকে ডানা মেলে পাখির ঝাঁক উড়ে বেড়ায়।তাই দেখে তমাল মাহিকে বলে,
-আকাশে পাখি হবে?
মাহি বলে,
-হবো।
তমাল বলে,
-চলো পাখির মত উড়ে চলি,হারিয়ে যাই আমাদের ভালোবাসার রাজত্বে।
মাহি বলে,
-চলো……
কল্পনায় পাখি হয়ে তমাল-মাহি ডানা মেলে উড়ে বেয়ায় আকাশে,হারিয়ে যায় তাদের ভালোবাসার রজ্ঞিন রাজত্বে।।
নদীর দুষ্ট বাতাস যেন তাদের ভালোবাসা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়।তাইতো শিষ দিতে দিতে চলে যায় দুষ্ট বাতাস।নদীর ঢেউ যেন তাদের ভালোবাসার উত্থান-পতন।কখনো ভাললাগা কখনো বা খনিকের জগড়া।পানিতে পা ডুবিয়ে বসে থাকা,পানি ছিটাছিটি,এসব যেন ভালোবাসা আরও বাড়িয়ে দেয়।এভাবেই একপা দুপা করে চলতে থাকে তমাল-মাহির ভালোবাসা।।
দুটি হৃদয় স্বপ্ন দেখতে থাকে ভালোবেসে ঘর বাধার।যে ঘরে থাকবে তমাল-মাহি,আর ঘর জুড়ে থাকবে শুধুই তাদের ভালোবাসা।