আচ্ছন্ন
আমি কবি নই যে শব্দ দিয়ে কথার ছবি আঁকব।
আমি শিল্পি নই যে রঙের তুলি দিয়ে প্রতিবাদি কবিতা লিখব।
আমি নিরব থাকি সংশায়িত সরবতার সন্দিগ্ধে,
আমার কবিতা তখন ঘুমায় মেঘাচ্ছন্ন অন্তরিত সুর্য স্নানে।
অত:পর
নীরবতা যখন নিরপত্তাহীনতায় ভোগে।
সরবতা তখন বিরুদ্ধ উক্তি জ্ঞাপনে
সচকিত শক্তি সঞ্চারে সদা সঞ্চালিত, সচ্ষ্টে।
অত:পর
নীরবতা শক্তি সংগ্রহে ব্যস্ত সতত, সেই শক্তি
যে শক্তি বিবেকের পাগলা ঘোড়াকে
চেতনা নাশক ইঞ্জেকশনে অবচেতন করে
অথবা,
ক্ষ্যাপা ষাঁড়কে আলপিনে আন্দোলিত করে।
অত:পর
আবার সেই সন্ধ্যা, আকন্ঠ নিদ্রা শর্বরী সারা
সূর্যও উঠে, ঊঁকি দেয় মেঘের কোণে কিন্তু তার
আবির্ভাবও ঘটেনা নূন্যতম আগমনটা নয়।
অত:পর
বৃষ্টি আসে, তেষ্টা মেটাতে নয়, বান ভাসাতে
যার দৃষ্টিতে ছিল দৃষ্টিহীনের দৃষ্ট, ভাসাতে এসেছে-
যে গতবার ভাসিয়েছিল গৃহহীনের গৃহ
অত:পর
ভীতির চাদরে, সংশয়ের আদরের একা বসে ভাবি
কেন এই নীরবতা, জাগতে হবে, জাগাতে হবে
সূর্য কি ঘুমাবে ভোরের আশে, চন্দ্র কি রবে নীরব পূর্ণিমার আশে।
অত:পর
ভাবি
আর নয় অত:পর, এবার কর সংহার
ভাংতে হবে বৃত্ত, নির্ভার করুক নৃত্য,
মার লাথি, অলিক পাঠাও অলোকে
শ্রী, সুন্দর, সুখ, সত্য চলুক সর্বলোকে।