বই ও বাস্তবতা থেকে শিক্ষা!!
শিক্ষা আমাদের শিক্ষিত করে তোলে! আমরা আমাদের কর্মদোষ থেকে শিক্ষা পেতে পারি, কর্মফল থেকে পেতে পারি! অথবা অন্যের গুণাবলি বিশ্লেষণ করেও শিক্ষিত হতে পারি। সর্বপরি বই হতে! শিক্ষিত হওয়ার মূল মন্ত্র যে বই! তা অনেক আগেই প্রমথ চৌধুরী প্রমাণ করে গেছেন তার বই পড়া প্রবন্ধে। বই পড়ার প্রবন্ধের মূল সর্থ ছিলো শিক্ষার্থীদের জ্ঞানলাভ ও মানুসিক উন্নতি। বর্ত্মানে আমরা বই পড়ি না বই মুখস্ত করি। জ্ঞানলাভ করি না সার্টিফিকেট অর্জন করি। এই সত্যটা! বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনুধাবন করতে চায় না। তাদের প্রয়োজন ভালো ফলাফল! তাই লেখক বলেছেন,’পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়’। আমরা সাহিত্যের রস উপভোগ করতে প্রস্তুত নই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তা অপূর্ন হওয়াতেই আজ এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সুশিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রই স্বশিক্ষিত। যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসারতা দরকার যা বই পাঠের অভ্যাসের মাধ্যমেই কেবল সম্ভব। একজন স্বশিক্ষিত মানুষ সকল নীচুতা,স্পর্শকাতরতা, হিংসা-বিদ্বেষের ঊর্ধ্বে। সে নিজের জীবনের মধু নিজে আস্বাদন করতে পারে। তাই বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যদিও বই পড়ার মানুসিকতা আমরা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। এই ক্ষেত্রে আমরা যারা বই পড়তে অভস্ত নই। তাঁহাদের জন্য বাস্তবতাই শিক্ষার মূল ধারা।
তেমন এক বাস্তবতার মুখামুখি হতে হয়েছিলো ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে। আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়ন কারি। কাল বলতে সময়ের অধ্যাকে বুঝায় তা ভালো ভাবে শিখতে পেড়েছিলাম। ঘটনার মূলে ছিলোঃ প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পর। যখন খাতা দেয়ার পর্ব শুরু হল। প্রথম ঘণ্টা ছিলো নির্ঞ্জন স্যারের। টেবিলের উপর রাখা অনেক গুলো উপকরণের মধ্যে ছিলো, পরীক্ষার খাতা সাথে এক জোড়া বেত। ভয়ে কারো মুখ থেকে কোন কথা বেড় হচ্ছিলো না। জোড়া বেতের আগাত খাওয়ার অপেক্ষার পহড় গুনছিলাম সবাই। সবাই বলতে সেই ৭০ শতাংশ। একে একে সবাই উত্তম মধ্যম খেয়ে নিলাম। তার মধ্যে আমার মত ফেল করা ছাত্র যেমন ছিলো পাস করা ছাত্রও ছিলো অনেক। তাহলে পাস করা ছত্ররা মার খেলো কেন? তাহাই ছিলো কালের বিবর্তন। আমরা যারা মার খেয়েছিলাম, আমাদের খাতায় লিখাছিলো “প্রথম সামরিক পরীক্ষা” সামরিক বলা হয় একটি রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরকে। আর কাল বলতে বুঝায় একটি নির্দিষ্ট সময়কে। এক বছরে এক ক্লাসে আমাদের ৩বার পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয়। একটি বছরকে ৩ভাগে ভাগ করে সময় কাল নির্দারণ করা হয়। সেই সময় কালকে “সাময়িক” বলা হয়। আমাদের খাতায় সাময়িক উঠে গিয়ে সামরিক বসে গিয়েছিলো। এমন একটি বেগতিক ঝড়ো কালের মধ্যদিয়ে আমরা কাল শিখতে পেড়েছিলাম। সে দিনের বাস্তবতা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে। যদিও এই শিক্ষা পাঠদান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আমরা পূর্বেই পেতে পাড়তাম। কিভাবে শিখলাম বড় বিষয় নয়! শিখতে পড়েছিলাম সেটাই বড় বিষয়।
সময় অভাবী সকলের নিকট, বাস্তবতা থেকে সুশিক্ষা কামনা করি এবং ব্লগে লেখা ও পয়েন্ট কামাবার প্রতি উপড়ে না পরে। অন্যের ব্লগ এবং বই পড়ে নিজের জ্ঞানের প্রসারতাই শ্রেয় মনে করি। সকলের প্রতি শুভ কামনা।