আজ শরতের পহেলা দিন
আজ শরতের পহেলা দিন, সকাল থেকেই বৃষ্টি বর্ষার বিদায় বার্তা পৌছে দিচ্ছে ঘরে ঘরে। ঋতুবৈচিত্রের এদেশে আমরা দিনে দিনে যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। শুধু নাম জানা ছাড়া কিছুই জানি না। অনেকে আছে যারা নামগুলোও সঠিকভাবে বলতে পারবে কিনা সন্দেহ।কোন ঋতু কখন আসে কখন শেষ হয় তা নিয়েও রয়েছে চরম অনীহাভাব।
দিনভর রিমঝিম
টুপটাপ শব্দ,
কখনো দমকা হাওয়া আর
বিদ্যুৎ চমকের
সঙ্গে ভারী বৃষ্টি,
আবার পরক্ষণেই
কালো মেঘে ঢাকা আকাশ।
বর্ষা ঋতুর এ
চিরচেনা রূপ পার
করে বাংলার
ঋতুচক্রে আজ আবার
ফিরে এলো শরৎকাল।
মেঘমুক্ত আকাশ শুভ্র
শিউলির মন
মাতানো ঘ্রাণ আর
দিগন্ত বিস্মৃত ফসলের
মাঠে ফসলের নিরন্তর
ঢেউ খেলানো দোলই
জানান দিচ্ছে আজ ভাদ্র
মাসের
সঙ্গে সঙ্গে এসেছে
শরৎও।
জলবায়ুর পরিবর্তনের
প্রভাবে ষড়ঋতুর এ
দেশে এখন
আলাদা করে ছয়টি ঋতুর
অস্তিত্ব
খুঁজে পাওয়া কঠিন।
তবে শরৎ তার রূপ ও
বৈশিষ্ট্য নিয়ে সহজেই
ধরা দেয় সকলের নিকট।
আর এ জন্যই
কবি সাহিত্যিক
থেকে শুরু করে সবার
মনেই বিশেষ
স্থানজুড়ে আছে এ ঋতু।
বসন্ত,
বর্ষা কিংবা গ্রীষ্ম
ঋতুকে বরণ করে নেয়ার
জন্য বিশেষ আয়োজন
থাকলেও শরৎকে বরণের
তেমন
কোনো আনুষ্ঠানিকতা
থাকে না।
তবে দেশের ঐতিহ্য,
সংস্কৃতিকে তুলে ধরার
পাশাপাশি নতুন
প্রজন্মকে বৈচিত্র্য
সম্পর্কে সচেতন
করতে বইয়ের
বাধা ধরা নির্দিষ্ট
পাঠের পাশপাশি এ ঋতুর
বৈশিষ্ট্য ও সার্বিক
দিক জানান
দিতে বিশেষ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন
বলে মনে করেন
বিশিষ্টজনেরা।
তারা মনে করেন ১
বৈশাখের দিন
ছাড়া বাংলা মাস
কিংবা সাল
সম্পর্কে দিন দিন আগ্রহ
হারাচ্ছে সবাই।
বাংলা ঋতুর ধারণা আর
বাংলা সালের দিন
তারিখ
সম্পর্কে আগ্রহের
বিলুপ্তি থেকে রক্ষা
পেতে এখনই
ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।