Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

এফএম কালচার

: | : ০১/০৯/২০১৩

তারুণ্য ও সংগীত একে অপরের বন্ধু। মিউজিক যদি এফএম রেডিও স্টেশনগুলোর প্রাণ হয় তাহলে তারুণ্যের প্রাণ এফএম মিউজিক কালচার। এফএম রেডিও স্টেশনগুলো টিনএজারদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। জনপ্রিয় হবেই-বা না কেন? বয়সটাই যে মিউজিকের। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এফএম রেডিও স্টেশন। এবিসি, রেডিও আমার, রেডিও টুডে ও রেডিও ফুর্তি এ সময়ের তরুণদের কাছে প্রিয় নাম। এফএম রেডিওর কথা বললে প্রথমেই আসে রেডিও জকিদের কথা। রেডিও জকিরা সদাব্যস্ত কথার জালে শ্রোতাদের আটকে রাখতে। রেডিও জকিরাও বয়সে মননে চিন্তায় তরুণ। এ কারণেই টিনএজারদের সঙ্গে রেডিও জকিদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। টিনএজাররা থাকতে চায় সদাহাসিখুশি।

 

এফএম ব্যান্ডের রেডিও স্টেশনের প্রোগ্রামগুলো মূলত টু ও কমিউনিকেশনস। আগের রেডিও অনুষ্ঠানগুলো ছিল ওয়ানওয়ে কমিউনিকেশন্স প্রোগ্রাম। অর্থাৎ উপস্থাপক যা বলত বা শোনাত শ্রোতাদের একান্ত বাধ্য হয়েই তা শুনতে হতো। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি এই একঘেয়েমি দূর করেছে।

 

জনপ্রিয় করে দিয়েছে রেডিও স্টেশনগুলো। এখন বাজারে তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে ব্যবহার্য জিনিস হচ্ছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনে রয়েছে অনেক ফিচার বা সুবিধা। কথা বলার পাশাপাশি এসএমএস, এফএম রেডিও শোনা অন্যতম সুবিধা। বর্তমান এফএম ব্যান্ডের রেডিও স্টেশনের প্রোগ্রামগুলো এসএমএসকেন্দ্রিক। রেডিও জকিদের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রিয় গান শুনতে অথবা কাউকে ডেডিকেট করছে টিনএজাররা। এতে অনেক এফ এম রেডিও জকির নাম শ্রোতাদের মুখে মুখে। অনেক রেডিও জকি এখন দারুণ জনপ্রিয়। এখন আড্ডায়, ভ্রমণে, অবসরে তরুণদের সঙ্গী সেল ফোনে রেডিও শোনা। এফএম রেডিও স্টেশনের বেশিরভাগ প্রোগ্রামই মিউজিকনির্ভর। মিউজিকের বাইরেও কৌতুক, সংবাদ বিশ্লেষণ ও ভালোবাসার টপিকস নিয়ে প্রোগ্রাম বানাচ্ছে রেডিও কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সময়ে টিনএজারদের কাছে বহুল জনপ্রিয় লাইভ অনুষ্ঠানে ভালোবাসার কথা বলে সফল বা ব্যর্থ জুটিরা। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে উপস্থাপন করেন একজন রেডিও জকি, যাকে এ অনুষ্ঠানে লাভ গুরুকুল নামে ডাকা হয়। আপনি একজন টিনএজারকে জিজ্ঞেস করলেই বিভিন্ন রেডিও স্টেশনের জনপ্রিয় প্রোগ্রামগুলোর শিডিউল জেনে নিতে পারেন নিমিষেই। টিনএজাররাও বর্তমানে রেডিও জকি হতে আগ্রহী। রেডিও জকি হতে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। রেডিও জকি হতে কী লাগে? প্রশ্নটির উত্তর, শুদ্ধ বাচনভঙ্গি আর উপস্থিত বুদ্ধি। আপনার যদি এ দুটি গুণ থাকে, তাহলে আপনি আজই একটি সিভি তৈরি করে পাঠিয়ে দিতে পারেন রেডিও স্টেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজারের কাছে। এফএমের কল্যাণে তরুণরা থাকছে আপডেটেড। এফএম রেডিওর কল্যাণে সবচেয়ে বড় উপকার হয়েছে দেশীয় সংগীতের। কিছুদিন আগেও হিন্দি গানে তরুণরাও বুঁদ হয়ে থাকত। এখন অবস্থা পাল্টেছে। তরুণরা এখন নজরুলঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, জারি, সারি ও মুর্শিদী গান শুনছে।

 

এসব গানের ভক্তকুল তৈরি হচ্ছে। এটা পুরো দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য ইতিবাচক। বাজারে এখন বিভিন্ন দাম ও আকারের এফএম রেডিও পাওয়া যাচ্ছে। রেডিও ছাড়া এফএম স্টেশনগুলোকে টিউন করতে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দরের সেলফোন। তবে এফএম সংস্কৃতি যদি টিনএজারদের ম্যানিয়া না হয় তাহলেই ভালো। তারুণ্য আর এফএম সংস্কৃতি হাত ধরাধরি করে হাঁটবে এটাই স্বাভাবিক। দেশীয় ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির আবহে বেড়ে উঠুক আগামীদিনের টিনএজাররা।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top