Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

পুলিশ আজকাল

: | : ০৫/০৯/২০১৩

আজকাল পুলিশের মনমানসিকতার ওপ্র বাংলা-হিন্দি সিনেমার প্রভাব পড়েছে।
সম্ভবত, বিগত সরকারের সময়গুলোতে তারা অতিমাত্রায় বাংলা সিনেমা দেখে নিতম্বে চর্বি জমিয়েছিল। কিন্তু এই সরকারের আমলে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় তারা এতদিন ধরে বসে বসে সিনেমা দেখে যা শিখেছে তা-ই বাস্তবে প্রয়োগ করছে।

স্বামী কেন আসামী, বাবা কেন চোর, টোকাই থেকে সন্ত্রাসী ইত্যাদি দেখে দেখে জনৈক পুলিশ পয়লা বৈশাখ এর মতো দিনে ডাকাতির কাজ করে ফেলেন।
বাংলা সিনেমার নায়কের মতো একজন সৎ সুদর্শন চেহারার পুলিশ হয়ে গেল ডাকাত এবং ধরা পড়ার পর তার ডায়ালগটাও ছিল বেশ সিনেমাটিক, ‘লোভে পড়ে এ কাজ করেছি’। এ বছরের শ্রেষ্ঠ ডায়ালগ হতে পারে এটা।
অর্থাৎ তার কথায় আমরা বুঝতে পারি, সাধুদের চারপাশে সবসময় প্রলোভন দেখায়। আর বেচারা সেই প্রলোভনে মাথা ঠিক রাখতে পারেনি।

আজকাল পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বেশ গ্ল্যামার সচেতন হয়েছে বোঝা যায়। কেননা, রাস্তাঘাটে যেসব সার্জেন্ট দেখা যায় তারা সবাই বেশ সুদর্শন ও সুদর্শনা। তবে এই তরুণ ও পৌঢ় পুলিশরা (ছেলে) রাস্তায় তরুণীদের দেখলে বেশ রোম্যান্টিক দৃষ্টিতে বিভিন্ন ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘার ঘুরিয়ে প্রত্যক্ষ করে চোখে সানগ্লাস থাকায় তারা ভালোভাবে খুঁজে বের করতে পারে, কার গায়ে কত স্বর্ণ গয়না আছে।
তবে ঘটনা সত্যি যে,পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কিছু কর্মকর্তা ছোটখাটো অপরাধ করে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকে এবং ফোকাস হতে চেয়েছিল লাইম লাইটে। এত দিনে তা হয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।

তবে তিনি এটাও প্রমাণ করলেন যে, পুলিশরাও রক্ত-মাংসের মানুষ।তাদের-ও লোভ-হিংসা আছে, যা প্রমাণ করেছিল ইয়াসমিন হত্যাকারী ওই পুলিশ।
তবে কিছু বাংলা সিনেমার একনিষ্ঠ উদ্বুদ্ধ এই দর্শক শ্রেণীর এবং সন্ত্রাসীদের প্রাচীনকাল থেকেই একই পাল্লায় মেপে আসছে জনসাধারণ।
কারণ, রাতে কোন সাধারণ ব্যক্তি বের হতে ভয় পায় মাত্র দুটো জিনিসের শিকার হওয়ার ভয়ে। এক পুলিশ, অন্যটি সন্ত্রাসী।

তাই বলতেই হয়, কে বলে বাংলা সিনেমার কোন দর্শক নেই, জনপ্রিয়তা নেই!

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top