এ হুসাইন মিন্টু
বুকস্ ফেয়ার ।। ঢাকা
লেখক
প্রথম প্রকাশ২০১২
আশ্বিন ১৪১৯
প্রথম প্রকাশ
মাঘ ১৪১২
প্রকাশক
মোঃ ফারুক হোসেন
বুকস্ ফেয়ার
37/1 বাংলা বাজার, ঢাকা-1100
ফোন : 01714420035, 01946129280
ইমেল : booksfairbd@gmail.com
কম্পোজ
বিসমিল্লাহ কম্পিউটার্স
47/1, বাংলা বাজার,
ঢাকা-1100
বিক্রয় কেন্দ্র
বুকস্ ফেয়ার
12 বাংলা বাজার (সিকদার ম্যানশন)
ঢাকা-1100
প্রচ্ছদ`
সুধেন দাস
মুদ্রণ
নিউ এস আর প্রিন্টিং প্রেস
10/1 বিকে দাস রোড, ঢাকা-1100
মূল্য : 300.00টাকা মাত্র
ISBN 984 70158 0147 2
Muslim Darshan O Darshanik Porichiti, by Prof. Md. Mahbubur Rahman, Published by Md. Faruk Hossain; Books Fair, 37/1, Banglabazar, Dhaka-1100, Cover Designed by Sukken Das. Revised Edition : October 2012, Price : Taka 300.00 Only
পরিবেশকঃ-দি বুক সেন্টার ৩৮ বাংলা বাজার । সুমনা বইঘর৩৭/১ বাংলা বাজার, ঢাকা ।
উপমা প্রকাশনী, কল্লোল বুক সেন্টার, নার্গিস বুক সেন্টার নীলক্ষেত, ঢাকা ।
জন্ম তারিখ জানা থাকলেও মৃত্ত্যুক্ষণ অজানা । তবুও
জীবন সীমাবদ্ধ । মাঝে মাঝেই জীবন কাঁপিয়ে দেয়
অযাচিত মৃত্ত্যু আতংক । মুহুর্মুহ আলোর পথ ধরে
কখন যেন ঢুকে যায় অন্ধকার জল্লাদ, আমায় নিয়ে
যায় তুলে !
এ হুসাইন মিন্টু
ফুলবাড়ীয়া/ময়মনসিংহ ।
উত্সর্গঃ-
এই বইয়ের কোনো উত্সর্গ নেই ।
ভালোবাসা যেখানে অর্থহীন, প্রেম যেখানে
যেখানে পিষে মরে স্বার্থের গ্যাড়াকলে,জীবন
যেখানে নির্লিপ্ত অসহায়, সেখানে উত্সর্গের
ব্যাপারটি নতুন করে ভাবতে হবে ।
১
বার বার আমি নিজেকে লুকাই
নিজেই আবার করি প্রকাশ
নিঃশ্বাস আদৌ নিঃশেষ হয় নি
বিশ্বাস আমার হইয়াছে ঘ্রাস ।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমিউর রহমানের একমাত্র সন্তান মিজানুর রহমান ওরফে মিজান । বয়স একুশের কাছাকাছি । শারীরিক গঠন সুঠাম, মিডিয়াম লম্বা, মুখশ্রী-তে মায়াবী ভাব আছে । মিজানকে সৃষ্টি করার সময় সৃষ্টিকর্তা হয়ত নারী মোডে ছিলেন, তাই তো ভুলে ওর চেহেরায় সামান্য হলেও মেয়েলি ভাব এঁকে দিয়েছেন । আর সেই জন্যেই বোধ হয় মিজানকে আরো বেশি মায়াবী মায়াবী লাগে । মিজানের চেহেরা সম্বন্ধে এক কথায় বলতে গেলে, অপূর্ব । হাজারে একজন ওর মত সুশ্রী হয় কিনা বিনা জরিপে বলা মুশকিল । এক সাক্ষাতেই যে কেউ ওর সঙ্গে বন্ধত্ব করতে চায় । এ ক্ষেত্রে যুবতী মেয়েদের কথাই বলা বাহুল্য । তবে মিজানের বন্ধুবান্ধব নেই বললেই চলে । মিজান একা থাকতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে বেশি । সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করে মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে । একজন উদ্দাম যুবক হবার পরও মিজান কেন নিজেকে মেয়েদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখে সেই গবেষণা করে কেউ কোনো কূল কিনারা পায় নি । স্বয়ং মসিউর রহমান নিজেই লোক লাগিয়ে মিজানের এই ব্যাপারটি উদঘাটনের বহু প্রচেষ্টা করেছেন, কোনো ফল হয় নি । বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে অনেকের ধারনা হয়ত একাধিক মেয়ে ওর সঙ্গ চায় বলে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছে, নতুবা এই পর্যন্ত যেই সকল মেয়ে কাছে ভিড়তে চেয়েছে তাদের কাউকে পছন্দ হয় নি ।
মিজানের মা মারা গেছেন বছর তিনেক আগে । বাবা মসিউর রহমান দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বিদেশে চিকিত্সাধীন আছেন । মালি, দাড়োয়ান আর বাবুর্চিকে গণনায় না ধরলে গুলশানের স্বর্গপুরীতে মিজান একাই থাকে । কোনো রকমে টেনে টোনে এএসসি পাশ করার পর মিজান আর লেখাপড়া করে নি । এসএসসি পাশ হলেও ইংরেজিতে বেশ দখল আছে তার । তবে মিজান ইংরেজি পত্রিকা কিংবা ম্যাগজিন পড়ে না । ইংরেজি কেন, সে কোনো ধরনের পত্রিকাই পড়ে না । টেলিভিশন দেখে তবে কখনো খবর দেখে না । খবর দেখলেই তার মাথা ধরে যায় । সারাক্ষণ শুধু বিএনপি আর আওয়ামীলীগের খবর । এসব তার ভালো লাগে না । এ দেশে বিএনপি আর আওয়ামীলীগ ব্যতিত আরো তো অনেক লোক আছে, তারা কি একদিন খবর হয়ে উঠতে পারে না ? হৃদয় মাঝে এমন প্রশ্নের সঞ্চার হতেই খবরের প্রতি তার আগ্রহ হারিয়ে যায় । মিজানের রুমে যে টেলিভিশন আছে, সেটাতে সব বিদেশি চ্যানেলের সমারোহ । মিজান ইংলিশ মুভি দেখে । ভূত আর জাদুর ছবি তার বেশি পছন্দনীয় ।
এসএসসি পাশ করার পর মিজান কেন আর লেখাপড়া করে নি সেই ব্যাপারটিও এখনো কার কাছে সুস্পষ্ট নয় । মিজানের বাবারও চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না, কিন্তু বিধি বাম । মিজানকে একদিনও কলেজে পাঠাতে পারেন নি । আশেপাশের লোকজনের মধ্যে বলাবলি আছে, কোটিপতি বাবার একমাত্র সন্তান লেখাপড়া করে কী করবে ? আবার কেউ বলে বাবার অঢেল সম্পত্তিই কাল হয়েছে । লেখাপড়ায় মন বসাতে পারে নি বলে ছেড়ে দিয়েছে । আবার কেউ বলে, চাকরী বাকরী করতে হবে না বলেই লেখাপড়া করে নি । কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্যের চেয়ে শিল্প চর্চার দিকেই মিজানের ঝোঁক বেশি । বাবা বিদেশ চলে যাবার পর থেকে ব্যবসা বাণিজ্য ম্যানেজার সাহেবই সামলান । মিজান ওসবের ধারে কাছেও যায় না । যখন যা লাগে মুখ দিয়ে বললেই ম্যানেজার সাহেব একবারে বাড়িতে কেশ পৌছে দেন ।